Advertisement
E-Paper

কোন মামলার কী হাল, নথি চাইল লালবাজার

লালবাজার সূত্রের খবর, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের সব ক’টি মামলার সমস্ত নথি লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ‘ক্রিমিনাল রেকর্ড সেকশন’ বা সিআরএস-এর মোবাইল অ্যাপে আপলোড করে দিতে বলা হয়েছিল থানাগুলিকে।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৩০
সমস্ত মামলার বিস্তারিত তথ্য জমা পড়ার পরে পুলিশকর্তারা তা খতিয়ে দেখবেন।

সমস্ত মামলার বিস্তারিত তথ্য জমা পড়ার পরে পুলিশকর্তারা তা খতিয়ে দেখবেন।

কলকাতা পুলিশ এলাকার এ বছরের প্রথম দশ মাসে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলার বিস্তারিত তথ্য সব ক’টি থানা থেকে নিল লালবাজার। সম্প্রতি লালবাজারের তরফে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুলিশের আটটি ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনারদের। পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশ এলাকার থানাগুলিতে এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত যে সব মামলা রুজু হয়েছে, সেগুলি বর্তমানে কী অবস্থায়, সেটাই জানাতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। অর্থাৎ, কোন ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে, কোনটির হয়নি, কোনটির চার্জশিট হয়েছে— সবই জানতে চায় লালবাজার। বেশির ভাগ থানাই ইতিমধ্যে ওই তথ্য দিয়ে দিয়েছে বলে খবর।

লালবাজার সূত্রের খবর, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের সব ক’টি মামলার সমস্ত নথি লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ‘ক্রিমিনাল রেকর্ড সেকশন’ বা সিআরএস-এর মোবাইল অ্যাপে আপলোড করে দিতে বলা হয়েছিল থানাগুলিকে। সমস্ত মামলার বিস্তারিত তথ্য জমা পড়ার পরে পুলিশকর্তারা তা খতিয়ে দেখবেন। পুলিশ কমিশনারের পরবর্তী মাসিক ক্রাইম বৈঠকে সেই সমস্ত মামলার অবস্থা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সমস্ত ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনারেরা নিজেদের এলাকার থানাগুলির আধিকারিকদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেছেন।

বর্তমানে কোনও থানায় মামলা দায়ের হলে সঙ্গে সঙ্গেই তা সিআরএস অ্যাপে নথিভুক্ত করে দেন থানার অফিসারেরা। পাশাপাশি, অপরাধীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও থাকে অ্যাপে। থাকে মামলার নথিও। যার মাধ্যমে কোনও পুলিশ অফিসার লালবাজারে বসেই তা দেখে নিতে পারেন।

তা হলে দশ মাসের তথ্য নতুন করে জানাতে বলা হচ্ছে কেন?

পুলিশের একাংশের দাবি, বর্তমানে প্রতি মাসে এক-একটি থানায় যত মামলা রুজু হয়, প্রায় সমসংখ্যক মামলার তদন্তও প্রতি মাসে শেষ করতে বলা হয় পুলিশকে। এটাই প্রথা। সম্প্রতি শহরতলির এক থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, সেখানে দায়ের হওয়া বহু মামলার নথি অবৈধ ভাবে রেকর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই। ফলে সেই মামলাগুলির তদন্ত অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, কোনও মামলা কাগজে-কলমে বহাল থাকলেও রেকর্ড থেকে বাদ চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তেমন যাতে না ঘটে, সেই কারণেই চলতি বছরের প্রথম দশ মাসের রেকর্ড চেয়ে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন মামলার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হবে।

Lalbazar Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy