Advertisement
E-Paper

লালবাজার অভিযান নিয়ে তদন্তে বিশেষ দল

বামেদের লালবাজার অভিযানে পুলিশের ভূমিকায় পড়েছে প্রশ্নের মুখে। এই অবস্থায় পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার জন্য একটি ‘সিট’ বা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:৩৪
লালবাজার অভিযানে পুলিশের ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বাম কর্মী-সমর্থকদের। সোমবার শিয়ালদহে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

লালবাজার অভিযানে পুলিশের ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বাম কর্মী-সমর্থকদের। সোমবার শিয়ালদহে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

বামেদের লালবাজার অভিযানে পুলিশের ভূমিকায় পড়েছে প্রশ্নের মুখে। এই অবস্থায় পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার জন্য একটি ‘সিট’ বা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই অভিযানে যোগ দিয়ে গুরুতর আহতদের মধ্যে বিশ্বনাথ কুণ্ডুর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা সোমবার জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বাম দলগুলির লালবাজার অভিযানে পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে প্রচণ্ড ধস্তাধস্তি হয়। তাতে আন্দোলনকারী ও পুলিশের অনেকে আহত হন। হেয়ার স্ট্রিট এবং বৌবাজার থানায় তিনটি অভিযোগ জমা পড়ে। গ্রেফতারও হন কয়েক জন। কিন্তু ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। অভিযানের মোকাবিলায় পুলিশ বেপরোয়া লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। পুরো ঘটনার তদন্ত করার জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে বলে লালবাজারের খবর। ঘটনার দিন পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল, সিট সার্বিক ভাবে তা খতিয়ে দেখবে। নির্দিষ্ট সময়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওই দলকে। যুগ্ম কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্র তদন্তের কথা জানান, তবে সিট গঠনের বিষয়টি স্বীকার করেননি।

ওই অভিযানে অনেকেই আহত হন। তাঁদের মধ্যে ট্যাংরার পাগলাডাঙার বাসিন্দা বিশ্বনাথের সঙ্কট এখনও কাটেনি বলে চিকিৎসকেরা জানান। মাঝেমধ্যে সামান্য হুঁশ ফিরছে। এ দিন অল্প সময়ের জন্য তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হয়েছিল। তবে কিছু ক্ষণ পরে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ফের ভেন্টিলেশনেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ই এম বাইপাসের হাসপাতালে যে-চিকিৎসকের অধীনে তিনি ভর্তি আছেন, সেই স্নায়ুচিকিৎসক এল এন ত্রিপাঠী এ দিন জানান, ভেন্টিলেশন-নির্ভরতা পুরোপুরি কমাতে আরও বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যাবে।

বিশ্বনাথের দাদার অভিযোগ, লালবাজার অভিযানে পুলিশের লাঠির আঘাতেই আহত হয়েছেন তাঁর ভাই। ঘটনার রাতে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর থেকে ভেন্টিলেশনে আছে‌ন তিনি। রবিবার তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করার চেষ্টা সফল হয়নি। সে-রাতের পরে সোমবার সকালেই প্রথম তাঁর জ্ঞান ফেরে। কিছু ক্ষণের জন্য আনা হয় ভেন্টিলেশনের বাইরে।

এ দিন পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড বিশ্বনাথবাবুকে পরীক্ষা করে। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর মস্তিষ্কের বেশ কিছু জায়গা ফুলে রয়েছে। তাঁকে স্থিতিশীল অবস্থায় এনে দ্রুত ভেন্টিলেশন-নির্ভরতা কমানোটাই এখন তাঁদের মূল লক্ষ্য।

lalbazar march left front movement sit special investigating team lalbazar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy