যানবাহনের বেপরোয়া গতি রোধ করতে টালা সেতুতে ‘স্পিড ডিটেকশন ক্যামেরা’ বসাতে উদ্যোগী হয়েছে লালবাজার। ইতিমধ্যেই এই ক্যামেরা বসানোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, টালা সেতুর দুই প্রান্তে সেতুতে ওঠার মুখে এই ক্যামেরাগুলি বসানো হবে। আগামী মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে বলে আশা পুলিশকর্তাদের।
লালবাজার সূত্রের খবর, শহরের বিভিন্ন সেতু ও উড়ালপুলে বেপরোয়া গতি রোধ করতে আগেই গতি পরিমাপক এই ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কোনও গাড়ি বেঁধে দেওয়া গতিসীমার উপরে উঠলেই এই ক্যামেরার সাহায্যে সেই গাড়িকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, রাতের শহরে যখন ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা রাস্তায় থাকেন না, সেই সময়ে সব চেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে এই ক্যামেরাগুলি।
পুরনো টালা সেতু ভেঙে প্রায় ৪৬৮ কোটি টাকা খরচ করে ৮০০ মিটার লম্বা নতুন টালা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। চার লেনের ওই সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য ছ’জন পুলিশকর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়ারকে মোতায়েন করা রয়েছে। এ ছাড়াও সেতুতে রয়েছে ১৮টি ক্যামেরা। যার সাহায্যে চালানো হয় নজরদারি। ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা জানাচ্ছেন, ওই সেতুতে গতির ঝড় তোলার অবকাশ তেমন নেই। তা ছাড়া, সব সময়েই যান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশকর্মীরা সেখানে থাকেন। তা সত্ত্বেও পুলিশের নজর এড়িয়ে অনেক সময়ে মোটরবাইক কিংবা গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে সেতুর উপর দিয়ে। এই ধরনের যানবাহনকে বাগে আনতেই সেতুর দুই প্রান্তে রাস্তার মাঝে ওই গতি পরিমাপক ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)