Advertisement
E-Paper

দেশের অপরাধ তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে জুড়বে কলকাতা

লালবাজার সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শ মেনে ‘ক্রাইম অ্যান্ড ক্রিমিনাল ট্র্যাকিং নেটওয়ার্ক অ্যান্ড সিস্টেমস’ (সিসিটিএনএস) চালু করা হচ্ছে। এটি একটি নেটওয়ার্ক পোর্টাল, যার মাধ্যমে অনলাইনে সারা দেশের পুলিশ তথ্য আদানপ্রদান করতে পারবে।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৮ ০২:৫০

থানায় থানায় অপরাধ ও অপরাধীদের তথ্যতালাশ করাই ছিল তার কাজ। সেই ‘ক্রাইমবাবু’ কি এ বার অবসর নেবেন? নাকি চলে যাবেন কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে?

লালবাজার সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শ মেনে ‘ক্রাইম অ্যান্ড ক্রিমিনাল ট্র্যাকিং নেটওয়ার্ক অ্যান্ড সিস্টেমস’ (সিসিটিএনএস) চালু করা হচ্ছে। এটি একটি নেটওয়ার্ক পোর্টাল, যার মাধ্যমে অনলাইনে সারা দেশের পুলিশ তথ্য আদানপ্রদান করতে পারবে। তাতেই প্রশ্ন উঠছে ‘ক্রাইমবাবু’র চাকরি নিয়ে। কেন?

এই ‘বাবু’ তো আর মানুষ নন। জাতীয় প্রকল্পের আগেই কলকাতা পুলিশ নিজেদের থানা, গোয়েন্দা বিভাগ ও ট্র্যাফিক বিভাগের মধ্যে তথ্য লেনদেনে একটি পোর্টাল চালু করেছিল। তারই নাম ‘ক্রাইমবাবু’। জাতীয় প্রকল্প চালু হওয়ার পরে সেটির আর প্রয়োজন প়ড়বে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে পুলিশের অন্দরে।

কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের এক জন জানান, ‘ক্রাইমবাবু’ পুরোপুরি বন্ধ না করে সিসিটিএনএস-এর সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া যায় কি না, তা ভাবা হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে কলকাতা পুলিশ ওই পোর্টাল ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে লালবাজারে বসেই যে কোনও থানায় নথিবদ্ধ হওয়া ঘটনার বিবরণ জানা যায়। তবে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, থানা স্তরে এখনও ক্রাইমবাবুতেই সব ঘটনা আপলোড করা হবে। ওই তথ্য পরে চলে যাবে সিসিটিএনএসে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১১ থেকে সিসিটিএনএস প্রকল্প চলছে। দফায় দফায় প্রশিক্ষণ হয়েছে। এই নেটওয়ার্কে জুড়ে গেলে সারা দেশের অপরাধ তথ্য আঙুলের ডগায় চলে আসবে লালবাজারের। তেমনই, কলকাতার ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে ভিন্‌ রাজ্যের পুলিশও জানতে পারবে। এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘অপরাধ ঘটলে বা অপরাধী ধরা প়ড়লে তার তথ্য ওই নেটওয়ার্কের পোর্টালে জানিয়ে দিতে হবে আমাদের। তা হলেই আলাদা করে তথ্য আদানপ্রদানের সমস্যা থাকবে না। ভিন্ রাজ্যের কোনও দুষ্কৃতী এসে কলকাতায় অপরাধ করে গেলেও তাকে চিহ্নিত করতে সুবিধা হবে।’’

এক গোয়েন্দাকর্তা বলছেন, গত বছর যোধপুর পার্কে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত ছিল উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। তারা যোধপুর পার্কের আগে অসম-সহ বিভিন্ন রাজ্যে একই কায়দাতে ডাকাতি করেছে। ওই ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হলে খুব সহজেই ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পারবেন তদন্তকারীরা।’’

Lalbazar CCTNS Crime and Criminal Tracking Network & Systems
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy