অপরাধের ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা থেকে শুরু করে তদন্তের সময়ে ব্যবহৃত দস্তানা, দেহ বহনকারী ব্যাগ-সহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম রাখার বিশেষ ব্যাগ থানাগুলির কাছে রয়েছে কিনা, তা জানতে চাইল লালবাজার। ওই ব্যাগে থাকা কোনও সামগ্রীর কতটা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও কলকাতা পুলিশের থানাগুলির কাছে জানতে চেয়েছে লালবাজার। সূত্রের খবর, সম্প্রতি লালবাজারের এই বার্তা পেয়ে থানাগুলি তাদের সামগ্রীর প্রয়োজনের তালিকা তৈরি করে ডিভিশনের রিজ়ার্ভ অফিসারের মাধ্যমে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে তথ্যপ্রমাণ সুরক্ষিত রাখার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। সেই সব সরঞ্জামই গুছিয়ে রাখা হয় ওই বিশেষ ব্যাগে। যার মধ্যে থাকে ক্রস টেপ, মৃতদেহ বহনকারী ব্যাগ, নমুনা রাখার জন্য নির্দিষ্ট ব্যাগ, মুখ ঢাকা থাকলেও শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় না, এমন মাস্ক-সহ ন’রকম সামগ্রী। কিন্তু অভিযোগ, বিভিন্ন থানায় এই ব্যাগ থাকলেও তার ব্যবহার ঠিক মতো হয় না। এমনকি, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অপরাধস্থলে তদন্তের সময়ে থানা ওই ব্যাগ ব্যবহারই করেনি বলে অভিযোগ। পরে গোয়েন্দা বিভাগের তরফে সেই ঘটনাস্থলে ওইসরঞ্জামের ব্যাগ নিয়ে গিয়ে তা ব্যবহার করা হয়।
এক পুলিশকর্তা জানান, কোনও ঘটনাস্থল সুরক্ষিত রাখতে এবং সেখান থেকে ঠিক ভাবে তথ্য ও নমুনা সংগ্রহ করতে বছর দশেক আগেথানাগুলিকে ওই ব্যাগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেগুলির ব্যবহার নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে। তার পরেই কলকাতা পুলিশের থানাগুলির কাছে ওই ব্যাগ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে লালবাজার। তদন্তের জন্য তাদের কোনও সরঞ্জামের প্রয়োজন রয়েছে কিনা, তা জেনে নিয়ে সেগুলি বিভিন্ন থানায় পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা।
বিভিন্ন থানা সূত্রের খবর, ওই ব্যাগের মধ্যে কিছু জিনিস আর ব্যবহারযোগ্য নেই। সেই সব সরঞ্জামের তালিকা তৈরি করে ইতিমধ্যেই লালবাজারে পাঠানো হয়েছে বলে বিভিন্ন থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। কোনও খুনের ঘটনা ঘটলে ওই সরঞ্জামের ব্যাগ যাতে ঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয়, লালবাজারের তরফে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকর্মীদের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)