কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সুভাষ সরোবর এলাকা থেকে উচ্ছেদ হওয়া ২২টি পরিবারকে সোমবার সাময়িক আশ্রয় দিতে বাধ্য হল রাজ্য। সরোবর লাগোয়া ‘কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট’ (কেআইটি)-এর জমিতে ওই পরিবারগুলিকে আশ্রয় দেওয়া হবে বলে এ দিন হাইকোর্টের বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের আদালতে জানান রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অভ্রতোষ মজুমদার। হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও রবিবার ওই পরিবারগুলিকে উচ্ছেদ করায় এ দিন আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতে ওই কথা জানান অভ্রতোষ।
সরোবরের সৌন্দর্যায়নের জন্যই ওই উচ্ছেদ বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিচারপতি বাগের নির্দেশ ছিল, সরোবরের সৌন্দর্যায়ন করা যেতেই পারে। কিন্তু ওই পরিবারগুলিকে উচ্ছেদ করা যাবে না। ওই উচ্ছেদে বাধা দিতে গিয়ে রবিবার সল্টলেকের ‘ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস’ (এনইউজেএস)-এর পাঁচ জন পড়ুয়া উচ্ছেদকারীদের হাতে মার খান। তাঁদের হাসপাতালে পাঠাতে হয়।
উচ্ছেদ নিয়ে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হলেও প্রশ্ন উঠেছে, দখল করা জমিতে ওই পরিবারগুলি কেন ছিল? আইনজীবীদের একাংশের প্রশ্ন, এনইউজেএস-এর পড়ুয়ারা দখলদার পরিবারগুলির পক্ষ নিতে গেলেন কেন? পড়ুয়াদের বক্তব্য, কোনও জায়গায় কেউ দীর্ঘদিন বসবাস করলে তাঁর আইনি অধিকার জন্মায়। তা না হলে হাইকোর্টই বা উচ্ছেদে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কেন? হাইকোর্টই বলেছিল, সৌন্দর্যায়ন করার জন্য উচ্ছেদ চলবে না। উচ্ছেদ করার আগে হাইকোর্টের অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই ওই সব পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।