Advertisement
E-Paper

পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা যাবে না, হকারদের দিতে হবে লাইসেন্স, দাবি নিয়ে পথে বাম শ্রমিক সংগঠন

বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি বৃহস্পতিবার হকারদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার দাবিতে পথে নেমেছিল। পদ্মপুকুর থেকে মিছিল হয় ধর্মতলা পর্যন্ত। ধর্মতলায় সমাবেশেরও আয়োজন করা হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪ ১৯:৩৪
কলকাতায় কেন্দ্রীয় হকার আইন চালু করার দাবিতে বামেদের সমাবেশ।

কলকাতায় কেন্দ্রীয় হকার আইন চালু করার দাবিতে বামেদের সমাবেশ। — নিজস্ব চিত্র।

হকারদের সমর্থনে এবং বেআইনি উচ্ছেদ বন্ধ করার দাবিতে বৃহস্পতিবার কলকাতায় মিছিল এবং সমাবেশের আয়োজন করা হল বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে। তাদের ডাকে একাধিক হকার সংগঠন মিছিলে যোগ দিয়েছিল। ধর্মতলার লেনিন মূর্তি থেকে কলকাতা পুরসভার দফতর পর্যন্ত আসেন। তার পর সেখানে সমাবেশ হয়। বাম শ্রমিক সংগঠনের নেতারা সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন। এ ছাড়া, হকারদের দাবির কথা জানিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়েছে।

মূলত যে দাবিগুলি নিয়ে বৃহস্পতিবার পথে নেমেছিল বাম শ্রমিক সংগঠন, তার মধ্যে অন্যতম বাংলায় অবিলম্বে ২০১৪ সালের কেন্দ্রীয় হকার আইন চালু করা। ওই আইন মেনে এ রাজ্যেও হকারদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া, পুনর্বাসন ছাড়া বেআইনি উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে বলেও জানান তাঁরা। আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল সিআইটিইউ, এআইসিসিটিইউ, এআইটিইউসি, ইউটিইউসি এবং টিইউসিসি-র মতো বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি।

মেয়রকে দেওয়া স্মারকলিপিতে মোট পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলি হল—

  • পশ্চিমবঙ্গে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হকার আইন কার্যকর করতে হবে।
  • উচ্ছেদ নয়, পরিবর্তে কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী প্রত্যেক হকারকে লাইসেন্স এবং উপযুক্ত পরিচয়পত্র দিতে হবে।
  • হকার পুনর্বাসনের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে হকার মার্কেট তৈরি করতে হবে (যেমন— সিআইটি পদ্মপুকুর অঞ্চলে নতুন তৈরি বিদ্যাসাগর মঞ্চের মার্কেট কমপ্লেক্সে বিরসূল হাটের হকারদের পুনর্বাসন দিতে হবে)। এর মধ্য দিয়ে এলাকার ফুটপাথও পরিষ্কার রাখা যেতে পারে।
  • বর্ষার সময় ব্যবসার প্রয়োজনে প্লাস্টিক ব্যবহার করতে দিতে হবে।
  • টাউন ভেন্ডিং কমিটিতে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হকার ইউনিয়নের প্রতিনিধি রাখতে হবে।

ধর্মতলায় বৃহস্পতিবারের সমাবেশে বক্তৃতা করেন এআইসিসিটিইউ-র রাজ্য সম্পাদক দিবাকর ভট্টাচার্য, সিআইটিইউ-এর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাউ, এআইটিইউসি-এর লীনা চট্টোপাধ্যায়, ইউটিইউসি-র মনু মল্লিক, টিইউসিসি-এর গণেশ রাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, রাজ্যে কিছু দিন আগে বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছিল। কলকাতার একাধিক বাজার এলাকা থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা শুরু করেছিল প্রশাসন। যার জেরে বিক্ষোভ শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বেআইনি ভাবে সরকারি জমি দখল করা যাবে না। দখলদারদের জায়গা ছাড়তেই হবে। তবে তাঁদের এক মাস সময় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ঘোষণার পরেও একাধিক জেলা থেকে দখলদার উচ্ছেদের খবর আসে। তার প্রতিবাদেই বামেদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবারের এই কর্মসূচি।

encroachment hawkers Encroachers Eviction Left
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy