হাওড়া সেতু। ফাইল চিত্র।
হাওড়া সেতুতে অদৃশ্য পর্দা লাগিয়ে ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ চালু করতে চান শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষ। একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে প্রাথমিক সমীক্ষার পরে ৩৫.৮৭ কোটি টাকার বিস্তারিত প্রকল্প-প্রস্তাব কেন্দ্রকে পাঠিয়েছেন তাঁরা। দেশের বিভিন্ন শহরে এমন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রক। বন্দর কর্তৃপক্ষের আশা, প্রকল্পটি হলে মিলেনিয়াম পার্কে বসে ভাষ্য শোনার পাশাপাশি হাওড়া সেতুতে আলোর খেলা দেখতে পারবেন দর্শকেরা। বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে ভেসেলে বসেও ওই আলোকসজ্জার ভাষ্য শোনা যাবে। এ নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার।
এ ছাড়াও উট্রাম ঘাট, তক্তা ঘাট এবং ইন্ডেঞ্চার মেমোরিয়াল বা চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তৈরি ঘাট বিশেষ ভাবে সাজিয়ে তুলছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। গঙ্গার ধার বরাবর ওই সৌন্দর্যায়ন ছাড়াও ক্রুজ়ের মাধ্যমে হেরিটেজ সফর চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্ট্র্যান্ড রোডের ধারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ভেন্টিলেশন শ্যাফট যেখানে তৈরি হয়েছে, তার পাশেই আর্মেনিয়ান ঘাটের পুরনো চেহারা রেখে ওই অংশ সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা হচ্ছে।
শহরে যানজট কমাতে মাসকয়েক আগে বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প বন্দরের আদলে নদীর নীচ দিয়ে ভারী ট্রাক চলাচলের উপযোগী সুড়ঙ্গ নির্মাণের ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘ওই কাজের জন্য বিশেষজ্ঞ সংস্থা সমীক্ষা শুরু করেছে। এ জন্য কলকাতা পুলিশ, হাওড়া কমিশনারেট ও প্রকল্পের একাধিক শরিককে নিয়ে বৈঠকও হয়েছে।’’ চলতি বছরে বন্দরে পণ্যের ওঠা-নামা গত দু’বছরের তুলনায় বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy