Advertisement
E-Paper

পানীয় জলের জারে জ্যান্ত টিকটিকি মিলল লেকটাউনে

কুড়ি লিটারের পানীয় জলের জার থেকে জল ঢালতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ লেকটাউনের তপন রায়ের। ভিতরে জলের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে একটা জ্যান্ত টিকটিকি। সিল করা ওই ‘পরিস্রুত’ পানীয় জলে টিকটিকি দেখে তখন রীতিমতো ভিরমি খাওয়ার দশা রায় পরিবারের। তপনবাবুর দাবি, জারটির সিল খোলার আগেই টিকটিকি দেখতে পান তিনি। তার পর থেকে জারটি যেমন ছিল, সে ভাবেই রেখে দিয়েছেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৪ ০০:১৯
সিল করা জলের জারে ঘুরছে টিকটিকি। শুক্রবার।  —নিজস্ব চিত্র।

সিল করা জলের জারে ঘুরছে টিকটিকি। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।

কুড়ি লিটারের পানীয় জলের জার থেকে জল ঢালতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ লেকটাউনের তপন রায়ের। ভিতরে জলের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে একটা জ্যান্ত টিকটিকি। সিল করা ওই ‘পরিস্রুত’ পানীয় জলে টিকটিকি দেখে তখন রীতিমতো ভিরমি খাওয়ার দশা রায় পরিবারের।

তপনবাবুর দাবি, জারটির সিল খোলার আগেই টিকটিকি দেখতে পান তিনি। তার পর থেকে জারটি যেমন ছিল, সে ভাবেই রেখে দিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ জানিয়েছেন লেকটাউন থানায়। ওই পানীয় জলের জার যে সংস্থার, তার আধিকারিকদেরও ফোন করে বিষয়টা জানিয়েছেন তিনি। তবে কী ভাবে জলে টিকটিকি এল, তার অবশ্য কোনও সদুত্তর মেলেনি।

লেকটাউনের এস কে দেব রোডের একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন সেক্টর ফাইভের এক বেসরকারি সংস্থার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মী তপনবাবু। তিনি জানান, বাড়ির পানীয় জল পরিস্রুত করার যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ায় গত দেড় মাস ধরে স্থানীয় একটি দোকান থেকে পানীয় জলের জার কিনছিলেন তাঁরা। তপনবাবু বলেন, “বুধবার রাতে ওই দোকান থেকে তিনটি কুড়ি লিটারের জার কিনে এনেছিলাম। ওই রাতে আর কোনও জার খুলিনি। বৃহস্পতিবার সকালে একটি জারের সিল খুলতে গিয়েই তার মধ্যে জ্যান্ত টিকটিকি দেখতে পাই।”

তপনবাবুর স্ত্রী মুনমুনদেবী বলেন, “গত দেড় মাস ধরেই আমাদের বাড়ির সবার পেটের নানা রকম সমস্যা হচ্ছে। আমার স্বামী পেটের ব্যথার চিকিৎসাও করাচ্ছেন। এ বার পানীয় জলের জারে টিকটিকি দেখার পরে আমাদের আশঙ্কা, প্রথম থেকেই দূষিত জল সরবরাহ করে যাচ্ছে ওই সংস্থা।”

রায় পরিবারের অভিযোগ, জলের জারে টিকটিকি দেখার পরেই পানীয় জলের ওই সংস্থাকে ফোন করেন তাঁরা। কিন্তু তারা ‘দেখছি দেখব’ বলে সে রকম কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। ওই সংস্থার অফিস মধ্যমগ্রামে। তপনবাবুর আরও অভিযোগ, “বারবার ফোন করার পরেও ওরা কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমি বলি মিডিয়াকে জানাব। তাতে উল্টে ওরা আমাকেই হুমকি দেয়। এর পরে আমি লেকটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করি।” যদিও ওই পানীয় জল প্রস্তুতকারক সংস্থার এক কর্ণধার সুমন সরকার বলেন, “বিষয়টি জানি। আমরা খতিয়ে দেখে জানতে পেরেছি, ওই পানীয় জলের জারের গায়ে যে তারিখের ব্যাচ নম্বর লেখা আছে, তার সঙ্গে আমাদের সংস্থার ব্যাচ নম্বর মিলছে না। আমাদের সন্দেহ, আমাদের সংস্থার নাম দিয়ে কেউ নকল তৈরি করছে। আমরাও পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি।” তবে সুমনবাবুর দাবি, তপনবাবুকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

লেকটাউন থানার পুলিশ তদন্তে নেমে দেখেছে, ওই তিনটি পানীয় জলের জারের মধ্যে দু’টি জারে কোনও ব্যাচ নম্বরই নেই। জারগুলি কোথা থেকে এসেছে, কারা সরবরাহ করছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যে দোকান থেকে তপনবাবু জারগুলি কিনেছিলেন, সেই দোকানদারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

laketown drinking water lizard kolkata news online kolkata news Mineral water Mineral water bottle police station tapan roy family
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy