ফাইল চিত্র।
ভাঙাচোরা পাঁচিলে ঘেরা পুরনো বাড়িটির চারধারে আবর্জনার স্তূপ। যত্রতত্র পড়ে ফাঁকা টব, বাতিল ট্যাঙ্ক ভরা ছিল বৃষ্টির জলে। মশার চাষ চলছিল অবাধেই। সেই বাড়ির মালিক তো দূর, কারও খোঁজ ছিল না।
ডেঙ্গি দূরীকরণ অভিযানে নেমে একটি-দু’টি নয়, মধ্যমগ্রাম উদয়রাজপুরের ওই বাড়িটির মতো শতাধিক বাড়ি-জমি চিহ্নিত করেছে পুরসভা। সেই সব বাড়ি বা জমির মালিকের কোনও খোঁজ মেলেনি। এত দিন এমন পরিস্থিতির কথা জানা ছিল না কারও। অবশেষে পুরসভার নজরে পড়তে এলাকা পরিষ্কার করে মশা দূর করতে ধোঁয়া, তেল দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এ জন্য সোমবার পুরসভা পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দও করেছে। পুরসভার চেয়ারম্যান তথা এলাকার বিধায়ক রথীন ঘোষ বলেন, ‘‘পুর এলাকার ১০, ১১, ১৯, ২২-সহ সাতটি ওয়ার্ডে মালিকহীন ১৫০টি বাড়ি-জমিতে মশার আঁতুড়ঘর হয়েছিল। পুরসভার তরফে জায়গা পরিষ্কার করে মশা মারার ব্যবস্থা হয়েছে।’’
গত বছরই ডেঙ্গি ও অজানা জ্বরে মহামারির চেহারা নিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা। ইতিমধ্যেই জেলায় বিভিন্ন জায়গা থেকে ডেঙ্গি ও অজানা জ্বরে আক্রান্তের খবর আসতে শুরু করেছে। ডেঙ্গি প্রতিরোধে এই জেলায় পরিকাঠামোর অভাবের প্রসঙ্গ টেনে তা মোকাবিলার জন্য গত শুক্রবারই মহাকরণ ও বারাসতের প্রশাসনিক ভবনে বৈঠক হয়। সেখানেই জেলার সব পুরসভা ও পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়, এলাকায় সাফাই অভিযান চালানোর সময়ে বহুতল এমনকি সরকারি অফিসের ছাদে জল যাতে জমতে না পারে সে দিকে নজর রাখতে হবে। সে কাজে নেমেই বিষয়টি নজরে আসে মধ্যমগ্রাম পুরসভার।
একই ভাবে বারাসত পুর এলাকায় থাকা বিভিন্ন সরকারি অফিস, বাড়ি ও পরিত্যক্ত এলাকা পরিষ্কারের কাজও শুরু হয়েছে বলে দাবি পুরসভার। স্থানীয় চিকিৎসকদের নিয়ে মশা মারার অভিযানের জন্য নিয়মিত বৈঠকও শুরু হয়েছে। চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এলাকা পরিষ্কার, মশা মারার কাজ চলছে।’’ গত বছরের পরিস্থিতি যাতে ফিরে না আসে সে কথা ভেবেই এই তৎপরতা বলে দাবি দুই পুর প্রশাসনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy