—প্রতীকী ছবি।
উল্টোডাঙার বাসিন্দা অর্চনা পালংদারের মৃতদেহ লোপাটের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হরিহর মাহাতোকে গ্রেফতার করল আনন্দপুর থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের গিরিডি থেকে হরিহরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে কলকাতা পুরসভার সাফাই বিভাগের কর্মী। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, অর্চনা এবং তাঁর সঙ্গী বলরাম কেশরীর দেহ লোপাটের পিছনে হরিহরের হাত ছিল। হোটেলের ম্যানেজার তথা হরিহরের ছেলে জয়দেব তার বাবার বুদ্ধিতেই দু’ জনের দেহ লোপাট করে। সেই কাজে সে হোটেলের কর্মী আশিস যাদব এবং এক ট্যাক্সি চালক বিজয় যাদবের সাহায্য নেয়। বলরামের দেহ বাইপাসের ধারে নোনাডাঙা খালে ফেলে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় এই নিয়ে চার জন গ্রেফতার হল।
পুলিশ জানায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর উল্টোডাঙার জওহরলাল দত্ত রোডের বাসিন্দা অর্চনা মোবাইল সারানোর নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তার পরে আর তিনি ফেরেননি। তিন দিন পরে আনন্দপুর থানা এলাকার চৌবাগা লকগেট থেকে ৩৫ বছর বয়সি অর্চনার দেহ উদ্ধার হয়। অর্চনার দেহ শনাক্ত করেন তাঁর স্বামী পিন্টু পালংদার। পুলিশ অর্চনার মোবাইলের কললিস্ট ঘেঁটে বলরামের খোঁজ পায়। কিন্তু বলরামের ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখে পুলিশ নিউ মার্কেট এলাকার একটি হোটেলের খোঁজ পায়। সেখানে খোঁজ করে পুলিশ জানতে পারে আশিস যাদব নামে এক কর্মী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কাজে আসছে না। এর পরে ঝাড়খণ্ড থেকে আশিসকে গ্রেফতার করতেই পুলিশ বলরামের কথা জানতে পারে।
তার দেহ নোনাডাঙার খাল থেকে উদ্ধার হয়। জেরায় আশিস জানায়, অর্চনা এবং বলরাম ১৭ সেপ্টেম্বর ওই হোটেলে ওঠেন। কিন্তু পরের দিন জলখাবার দিতে গেলে তাঁদের সাড়া মেলেনি। আর তখনই দরজা ভেঙে হোটেলের কর্মী আশিস দেখেন দু’জনের দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। হোটেলের মধ্যে দু’জনের দেহ দেখে ভয় পেয়ে গিয়েই হরিহরের পরিকল্পনা করে সেগুলি অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে খালে ফেলে এসেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy