প্রতীকী ছবি।
কখনও টাকা চাওয়া হত বেসরকারি মোবাইল সংস্থার টাওয়ার বসানোর নাম করে, কখনও কম সুদে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে। এমনই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ১৩ জনকে ধরে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ। কিন্তু মূল চক্রীর হদিস মিলছিল না। অবশেষে এক বছর পরে, শনিবার বেহালা থেকে ধরা পড়ল সে। ধৃতের নাম পঙ্কজ দাস। সে একটি সমবায় সমিতির মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ধৃতকে রবিবার বিধাননগর আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা কখনও মোবাইলের টাওয়ার বসানো, কখনও ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে ফোন করত। গ্রাহকেরা রাজি হলে অল্প অল্প করে টাকা নেওয়া হত। পরে সিকিয়োরিটি ডিপোজিট হিসেবে একলপ্তে নেওয়া হত অনেক টাকা। বিনিময়ে গ্রাহকদের ওই সমবায় সমিতির নামে কয়েক বছরের জন্য স্থায়ী আমানতের শংসাপত্র দেওয়া হত। কিন্তু ঋণ না পেয়ে পাঁচ জন গ্রাহক সংশ্লিষ্ট মোবাইল সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সংস্থা খবর দেয় পুলিশে।
পুলিশের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অসম, ওড়িশা, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশে কাজ করত এই চক্রটি। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, কয়েক হাজার লোক প্রতারিত হয়েছেন। প্রতারণার অঙ্ক ৫০ কোটি টাকারও বেশি। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সালের অগস্ট থেকে ফেরার ছিল মূল অভিযুক্ত পঙ্কজ। ধৃতের থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে চেক বই, মোবাইল-সহ বিভিন্ন নথি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy