—ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী যেন কল্পতরু!
চাওয়ার কথা থামলেই বলছেন, ‘কী চাই?’ আর চাওয়ার তালিকা দীর্ঘ হলে বলছেন, ‘‘অল্প অল্প চাও। বেশি চাইতে নেই।’’ বনগাঁর সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর পুকুর সংস্কারের আর্জি জানাতেই মুখ্যমন্ত্রী ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে দিলেন। তাতে সাংসদের মন গলছে না দেখে মুখ্যমন্ত্রীও মুহূর্তেই বললেন ‘‘আচ্ছা বেশ বিশ লাখ।’’ এমনই নানা মুহূর্ত তৈরি হল মঙ্গলবার ব্যারাকপুরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে। ছিলেন ওই জেলার সাংসদ, বিধায়ক, পুর প্রতিনিধিরা।
ব্যতিক্রম ব্যারাকপুর। আর্জি পেশ করতেই হয়নি। সোমবারই পিএইচই-র বাংলো সুরধনীতে এসে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটা হেরিটেজ শহর, প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের পীঠস্থান। এই হেরিটেজকে মনে রাখাটা খুব জরুরি। এখানে একটা প্রকল্প করব। নাম দিলাম উৎস ধারা প্রকল্প। স্বাধীনতার উৎস ধারা।’’
এ দিন লাটবাগানের ভিতরেও গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে ঐতিহাসিক দ্রষ্টব্য দেখে জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকদের নিজের ভাবনার কথা বলেছিলেন। প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ব্যারাকপুরের উন্নয়ন ও হেরিটেজ শহরকে সাজাতে ডেভেলপমেন্ট বোর্ড করছি। জেলাশাসককে তার চেয়ারম্যান করলাম। আর পাঁচ কোটি টাকা অনুমোদন করলাম।’’ জেলাশাসক স্থানীয় সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে নিয়ে একটা কমিটি তৈরি করবেন। ব্যারাকপুরের ইতিহাস, স্বাধীনতার যুদ্ধে এই শহরের ভূমিকা এবং সেই সময়ের যতটুকু স্থাপত্যের অস্তিত্ব আছে সেগুলি সংরক্ষণ করা হবে। মমতা বলেন, ‘‘শহিদ মঙ্গল পান্ডেকে উৎসর্গ করে অমর শহিদ জ্যোতি তৈরি হবে। ইকো ট্যুরিজম হবে। একটি মনুমেন্টও হবে। লাটবাগানের জন্যে একটা ডেভেলপমেন্ট বোর্ড হবে। ২৪ কোটি টাকা খরচ করে ৮০০-৯০০ পুলিশ কর্মীর থাকার জায়গা হয়েছে। কিন্তু বাড়িগুলি ভালো নেই। এগুলি ঠিকমতো সংরক্ষণ দরকার।’’ একই সঙ্গে খড়দহে রবীন্দ্রচর্চা কেন্দ্র গড়ে তোলার কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: অধিকারে হাত, সরব মুখ্যমন্ত্রী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy