তিনতলার শোয়ার ঘর ভরে গিয়েছে ধোঁয়ায়। পোড়া গন্ধ বেরোচ্ছে খাটের গদি, জানলার পর্দা থেকে। আর খাটে টাঙানো মশারির মধ্যে পড়ে রয়েছে এক প্রৌঢ়ার নিথর দেহ।
শুক্রবার ভোরে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার আর্য সমিতি রোডের একটি বাড়িতে। মৃতার নাম রুনু রায় (৫০)।
পুলিশের অনুমান, ওই ঘরে মশার ধূপ জ্বলছিল। সেটি থেকে প্রথমে আগুন লাগে পর্দায়। তা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে খাটে। পুলিশের ধারণা, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়েই মারা যান ওই প্রৌঢ়া।
ওই প্রৌঢ়ার পরিজনেরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতের খাওয়া সেরে রুনুদেবী কিছুক্ষণ দোতলার ঘরে মা-বাবার সঙ্গে টিভি দেখেন। সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনতলায় ঘুমোতে যান। একতলার ঘরে ছিলেন রুনুদেবীর ছেলে ও পুত্রবধূ। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এক প্রতিবেশী সুপর্ণা সাহা রায় রুনুদেবীর তিনতলার ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে ‘রুনুদি, আগুন লেগেছে!’ বলে চিৎকার করেন। তা শুনে রুনুদেবীর পুত্রবধূ সবিতা রায় গিয়ে দেখেন, শাশুড়ির ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। তিনিই বাকিদের ডেকে আনেন। রুনুদেবীর ছোট ছেলে রাকেশ দরজা ভেঙে ঢুকে দেখেন, খাটে পড়ে আছে মায়ের প্রাণহীন দেহ। পুড়ে খাক অধিকাংশ আসবাব। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আধ ঘণ্টায় আগুন নেভায়।
সবিতাদেবী জানিয়েছেন, হার্টের সমস্যা থাকায় তাঁর শাশুড়িকে একা থাকতে দেওয়া হতো না। অন্য দিন তাঁর সঙ্গে ঘুমতো সবিতাদেবীর ছেলে। কিন্তু পরীক্ষার পরে সে মামার বাড়ি গিয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার রাতে ঘরে একাই ছিলেন রুনুদেবী। সবিতাদেবীর কথায়, ‘‘এত বড় অঘটন যে ঘটে যাবে, তা ভাবতে পারিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy