কিছু ক্ষণ ধরেই দু’টি বেসরকারি বাসের মধ্যে চলছিল রেষারেষি। তাদেরই একটির ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন স্কুটারচালক এক প্রৌঢ়। ওই বাসেরই পিছনের চাকা তাঁর শরীরের উপর দিয়ে চলে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম গৌতম গুহ (৬১)। মঙ্গলবার দুপুরে বিটি রোডের সোদপুরের এই ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়েরা বাসটিতে ভাঙচুর চালান। খড়দহ থানার পুলিশ গিয়ে বাসটিকে আটক করে চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করেছে।
এই ঘটনা আবারও প্রশ্ন তুলছে, বিটি রোডের মতো রাস্তায় রেষারেষি নিয়ন্ত্রণে কতটা কড়া হয় পুলিশ? ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগের এক কর্তার কথায়, ‘‘মাঝেমধ্যেই তীব্র গতির যানবাহন আটকে কেস দেওয়া হয়। এ দিনও বাসটিকে আটক করা হয়েছে। অন্য বাসের খোঁজ চলছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, গৌতমবাবু আগরপাড়া মহাজাতি নগরের বাসিন্দা। পেশায় লোহার ব্যবসায়ী। এ দিন ব্যবসার কাজে স্কুটারে সোদপুরের স্বদেশি মোড়ে পৌঁছন। পরিজনেরা জানাচ্ছেন, জিনিস কিনে তাঁর ফেরার কথা ছিল। তাঁর এক ঘনিষ্ঠ শুভাশিস রায় বলেন, ‘‘দুই বাসের রেষারেষির বলি হতে হল ওঁকে।’’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, গৌতমবাবু রাস্তার ধার দিয়েই স্কুটার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে বিটি রোডে দু’টি বাস রেষারেষি করছিল। রহড়া-বাবুঘাট রুটের একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটারের পিছনে ধাক্কা মারলে ছিটকে পড়েন গৌতমবাবু। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে না-পারায় ওই প্রৌঢ়ের উপর দিয়েই পিছনের চাকা চলে যায়।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।