Advertisement
E-Paper

জমা জলে রোগ ছড়াচ্ছে বাইপাসে

বৃষ্টি কমেছে। কিন্তু এখনও জল নামেনি বাইপাসের ধারে একাধিক ওয়ার্ডে। তার উপরে আবার শুরু হয়েছে জ্বর ও ডায়েরিয়ার প্রকোপ। সঙ্গে চর্মরোগও। ফলে ক্রমশই ভোগান্তি বাড়ছে বাসিন্দাদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৫ ০২:০১
হাল এমনই। — ফাইল চিত্র।

হাল এমনই। — ফাইল চিত্র।

বৃষ্টি কমেছে। কিন্তু এখনও জল নামেনি বাইপাসের ধারে একাধিক ওয়ার্ডে। তার উপরে আবার শুরু হয়েছে জ্বর ও ডায়েরিয়ার প্রকোপ। সঙ্গে চর্মরোগও। ফলে ক্রমশই ভোগান্তি বাড়ছে বাসিন্দাদের।

বাইপাসের ধারে শহিদ স্মৃতি, ভগৎ সিংহ, বিকাশ গুহ, সুন্দরী কলোনি-সহ বিভিন্ন এলাকায় এখনও জল জমে রয়েছে। এর পাশাপাশি রোগ ছড়ানোয় আতঙ্কিত কলকাতা পুরসভার ১২ নম্বর বরোর ১০৮ এবং ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবারের খবর অনুযায়ী ওই সব এলাকায় জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা শ’খানেক। আর ডায়েরিয়ার ভুগছেন জনা তিরিশেক বাসিন্দা।

সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ১০৯ ওয়ার্ডের বুদেরহাট এবং সুন্দরী কলোনির। এ ছাড়া মুকুন্দপুরের ৬ ও ৭ নম্বর এলাকায় জ্বর ও চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, পক্ষ কালের মধ্যে পর পর দু’বার বৃষ্টি হওয়ায় জলে ডুবে গিয়েছে ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওই সব এলাকা। প্রথম বারের জল নামতে না নামতেই ২৮ জুলাই ফের বৃষ্টি শুরু হয়ে টানা প্রায় ৭-৮ দিন ধরে জল জমে ওই এলাকায়। সেখানে নোংরা জলে পা ডুবিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেককেই। তাতেই হাতে-পায়ে চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি গত কয়েকদিন ধরে শুরু হয়েছে জ্বরের দাপটও।

পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ এ দিন জানান, ওই এলাকায় জ্বর ও ডায়েরিয়ায় আক্রান্তের কিছু খবর আমরা পেয়েছি। ইতিমধ্যেই সেখানে হ্যালোজেন ট্যাবলেট, ওআরএস-সহ জ্বরের ওষুধ পাঠানো হয়েছে। তিনটি স্বাস্থ্য শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে আক্রান্তদের জন্য চিকিৎসকও রয়েছেন।’’

মুকুন্দপুরের এক বাসিন্দা জানান, এখনও রোগের প্রকোপ ততটা বাড়েনি ঠিকই। কিন্তু ডায়েরিয়া যে ভাবে দ্রুত ছড়ায়, তাতে পুরসভা কাজে ঢিলেমি দেখালেই তা মারাত্মক হয়ে উঠবে। আর তা নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন এলাকার অনেক বাসিন্দাই। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন জানান, জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে যাঁরা আসছেন, তাঁদের স্বাস্থ্য-শিবিরে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে। ওষুধও দেওয়া হচ্ছে সেখানে। তবে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে পুর-পরিষেবা পৌঁছচ্ছে না। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই আজ বুধবার সকাল থেকে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিম ওই সমস্ত এলাকায় ঘুরবে। ওই গাড়িতেই মিলবে আক্রান্তদের জন্য জ্বর ও চর্মরোগের ওষুধ।

bypass rain water logging medical flood
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy