Advertisement
E-Paper

সাফল্যের খুশিতে বিঁধে রইল গড় নম্বরের কাঁটা

করোনা পরিস্থিতিতে সিবিএসই-র সব ক’টি পরীক্ষা হতে পারেনি। কারও একটি, কারও বা দু’টি পরীক্ষা বাকি ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২০ ০১:২৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ওরা খুশি। কিন্তু ওদের অনেকেই আরও বেশি খুশি হত, যদি সব পরীক্ষা দেওয়া যেত। ওদের ধারণা, তা হলে হয়তো আর একটু বেশি নম্বর পাওয়া যেত।

করোনা পরিস্থিতিতে সিবিএসই-র সব ক’টি পরীক্ষা হতে পারেনি। কারও একটি, কারও বা দু’টি পরীক্ষা বাকি ছিল। যে পরীক্ষাগুলি হয়ে গিয়েছে, তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া তিনটি বিষয়ের গড় যে নম্বর হয়, সেটাই বাকি থাকা পরীক্ষায় দেওয়া হয়েছে।

এ দিন ফল বেরোনোর পরে দেখা যায়, যাদের দু’টি পরীক্ষা বাকি ছিল, তাদের আফশোস বেশি। দু’টি বিষয়ে গড় নম্বর পাওয়ায় অনেকেই অখুশি। যেমন ডিপিএস, রুবি পার্কের ছাত্র ঈশান সেনগুপ্ত জানাল, তাদের স্কুলের বাণিজ্য শাখায় সব থেকে বেশি নম্বর উঠেছে ৯৮.৮ শতাংশ। সে ৯৭ শতাংশ পেয়েছে। তারও দু’টি পরীক্ষা বাকি ছিল।

ঈশান বলল, ‘‘আরও ভাল করতে পারতাম। যে বিষয়গুলির গড় নম্বর যোগ করা হয়েছে, তার মধ্যে একটিতে যা ভেবেছিলাম, তা পাইনি। আমাদের ক্লাসে অনেকেই ওই বিষয়ে কম নম্বর পেয়েছে। সবাই রিভিউ করতে দেব। নম্বর বাড়লে আমার গড় নম্বরও বেড়ে যাবে।’’

শ্রীশিক্ষায়তনের মহাসচিব ব্রততী ভট্টাচার্যের মতে, ‘‘আফশোস তো থাকতেই পারে। কারণ, এমন অনেকেই আছে, যারা যে দুটো পরীক্ষা দিতে পারল না, সেই পরীক্ষা দুটোতেই হয়তো গড় নম্বরের থেকে অনেক বেশি পেত।’’ ব্রততী জানান, তাঁদের স্কুলে সব থেকে বেশি নম্বর উঠেছে ৯৮ শতাংশ। তাঁর মতে, তাঁদের সার্বিক ফল ভাল হয়েছে, কিন্তু আরও ভাল হতে পারত। সাউথ পয়েন্ট স্কুলে সব থেকে বেশি নম্বর পেয়েছে দেবারতি পাল। ৯৯ শতাংশ। এই নম্বর পেয়ে খুবই খুশি দেবারতি। তার দু’টি পরীক্ষা বাকি থাকলেও সে আর রিভিউ করাবে না। দেবারতির মতে, করোনা পরিস্থিতিতে যে পদ্ধতিতে নম্বর দেওয়া হয়েছে, তা ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না। কারণ, করোনার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কোনও ঝুঁকি নেওয়া যেত না।

সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির ফল এ দিন দুপুরে বেরোলেও সার্ভার আটকে যাওয়ায় অনেকেরই ফল জানতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়। পরীক্ষার ফল বেরোনোর পরে স্কুলে এসে পড়ুয়াদের জমায়েতের ছবি এ বার আর দেখা যায়নি। এক পরীক্ষার্থীর বাবা বললেন, ‘‘ছেলে ভাল নম্বর পেয়েছে। ভাবলাম, মিষ্টি খাওয়াব বাড়ির সবাইকে। কিন্তু করোনার জন্য পাড়ার মিষ্টির দোকানটাও বিকেলের পর থেকে বন্ধ।’’

Education ICSE ISC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy