এই জলাটিই বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘদিনের নয়ানজুলি। ব্যস্ত ভিআইপি রোডের ধারে ওই জলা-পথ সকলেরই চোখে পড়ত। ইদানীং বিজ্ঞাপনের বোর্ড বসানোর ফলে আড়ালে চলে গিয়েছিল ওই বিশাল জলাটি। তারই মধ্যে সেটির একটা বড় অংশ ভরাট করে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল।
আরও অভিযোগ, বাঙুর থেকে দমদম পার্ক পর্যন্ত বিস্তৃত ওই জলাটি পুরো বোজানোর চক্রান্ত চলছে। প্রতিবাদে রবিবার বাঙুরে খাল লাগোয়া এলাকায় গণ অবস্থান কর্মসূচি করল বিজ্ঞান মঞ্চের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি। তাঁদের অভিযোগ, জলা বুজিয়ে সেখানে নির্মাণকাজের পরিকল্পনা হচ্ছে।
অথচ ওই এলাকারই একটি জলা বোজানোর মামলায় আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, কোনও ভাবেই জলা ভরাট করা যাবে না। দক্ষিণ দমদম পুরসভার কাউন্সিলর মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্যও জলা বুজিয়ে প্রকল্পের বিরোধিতা করেছেন। যদিও পুরসভা জানিয়েছে, নির্মাণকাজ নয়, সেচ দফতর নয়ানজুলির পাড়ে সৌন্দর্যায়ন করবে।
বছরখানেক আগে নয়ানজুলি আড়াল করে ভিআইপি রোড বরাবর বিজ্ঞাপনের বোর্ড বসানো হয়। দিন কয়েক আগে দেখা যায়, জলার বেশ কিছুটা অংশ ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ভরাট করা মাটি যাতে জলে মিশে না যায়, তার জন্য শাল গাছের গুড়ি দিয়ে জায়গাটি বাঁধানো হয়েছে।
এ দিন সকাল থেকে সেখানে অবস্থানে বসেন বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যেরা। মঞ্চের জেলা সম্পাদক স্বপন সেন বলেন, ‘‘জল ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। এই অবস্থায় গাছ কেটে জলা বুজিয়ে কোনও প্রকল্প সমর্থন করা যায় না। আমাদের আশঙ্কা, এই নয়ানজুলি বুজিয়ে নির্মাণকাজের পরিকল্পনা চলছে।’’
দক্ষিণ দমদমের পুরপ্রধান বলেন, ‘‘আমরা ওখানে কিছু করছি না। সেচ দফতর সৌন্দর্যায়ন করবে বলে শুনেছি। তার জন্য ৯ কোটি টাকা বরাদ্দও হয়েছে। জলার পাশে হাঁটা এবং বসার জায়গা হবে বলেই বোধহয় পাড়ের একাংশ বাঁধানো হয়েছে।’’
জলা বোজানোর বিরোধিতা করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা অতীন রায়ও। কাউন্সিলর মৃগাঙ্কবাবু বলেন, ‘‘এর আগে গ্রিন ট্রাইবুনাল বলেছিল, জলা বুজিয়ে কোনও কাজ করা যাবে না। সৌন্দর্যায়ন অবশ্যই হোক। তার জন্য অনেকটা জায়গা ছিল। জলা ভরাট করা কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy