E-Paper

নিখোঁজ যুবককে খুনের অভিযোগ, ধৃত দুই বন্ধু

পুলিশ সূত্রের খবর, নিখোঁজ যুবকের নাম আসিফ রাজা (৩৩)। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আসিফের বাড়ি মেটিয়াবুরুজের সিমপুকুর এলাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৩৫
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

চার দিন ধরে নিখোঁজ থাকা যুবক খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। তার ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে মেটিয়াবুরুজ থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম মহম্মদ রাজু ও মহম্মদ ইজাজ। বাড়ি মেটিয়াবুরুজ থানা এলাকায়। ধৃতেরা নিখোঁজ যুবকের বন্ধু। তবে জেরায় তাদের দাবি, গঙ্গার জলে তলিয়ে গিয়েছেন ওই যুবক। যদিও শনিবার পর্যন্ত তাঁর দেহ উদ্ধার হয়নি। ধৃতদের দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, দেহ লোপাট-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, নিখোঁজ যুবকের নাম আসিফ রাজা (৩৩)। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আসিফের বাড়ি মেটিয়াবুরুজের সিমপুকুর এলাকায়। সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। মঙ্গলবার থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেও কোনও সূত্র পায়নি। এর মধ্যেই জানা যায়, সোমবার রাতে আসিফের সঙ্গে চা খেতে দেখা গিয়েছিল অভিযুক্তদের। ঘটনার পর থেকেই দু’জনে এলাকাছাড়া। এক তদন্তকারী জানান, তাদের ফোন নম্বর জোগাড় করে আসিফের পরিবার যোগাযোগ করে। তখন ধৃতেরা প্রথমে দাবি করে, তারা আসিফের বিষয়ে কিছু জানে না। এমনকি, ভুয়ো তথ্যও দিতে থাকে।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে রাজু এলাকায় ফিরেছে জানতে পেরে তদন্তকারী দল তাকে আটক করে। রাজু জানায়, সেই রাতে আসিফের সঙ্গে চা খেয়েছিল তারা। পরে মদ কিনে খেয়ে নাদিয়াল থানার কাছে গঙ্গার পাড়ে গিয়ে বসে। রাজুর দাবি, জোয়ারের সময়ে আসিফ গঙ্গায় পড়ে যান। সাঁতার না জানায় তাঁকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে ইজাজের কথামতো এলাকা ছাড়ে। শুক্রবার রাতেই রাজুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পার্ক স্ট্রিট থেকে ইজাজকেও ধরা হয়। জেরায় সে-ও জানায়, আসিফ গঙ্গায় পড়ে যান। কিন্তু কেন পুলিশে খবর না দিয়ে তারা পালাল, সদুত্তর মেলেনি। তদন্তকারীরা জানান, ধৃতদের বক্তব্যে মিল থাকলেও তারা সত্যি বলছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গঙ্গা তীরবর্তী থানাগুলিতে আসিফের ছবি পাঠানো হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Metiabruz

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy