স্টেশন এবং কারশেডের ছাদ ছাড়াও সম্ভাব্য অন্য পরিসর ব্যবহার করে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ জোর দিচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন স্টেশনের ছাদ, কারশেড এবং ডিপোয় বসানো সৌর প্যানেল থেকে বর্তমানে দৈনিক ১৬ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ মেলে। শীঘ্রই মেট্রো কর্তৃপক্ষ ওই ক্ষমতাকে দৈনিক ১ লক্ষ ১০ হাজার ইউনিটে নিয়ে যেতে চান বলে মেট্রো সূত্রের খবর।
এই মুহূর্তে কলকাতা মেট্রোয় নোয়াপাড়া, দমদম, বেলগাছিয়ায় সুড়ঙ্গের র্যাম্প ছাড়াও মহানায়ক উত্তমকুমার, কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন এবং টালিগঞ্জ সংলগ্ন তপন সিংহ মেমোরিয়াল হাসপাতালের ছাদে সৌর প্যানেল রয়েছে। এ ছাড়া, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সেন্ট্রাল পার্ক ডিপো এবং জোকা-মাঝেরহাট মেট্রোপথে জোকায় অবস্থিত কারশেডে বসানো প্যানেল থেকেও সৌরবিদ্যুৎ মেলে। এর পাশাপাশি বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে মেট্রো কর্তৃপক্ষ হলুদ লাইনে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথের যশোর রোড স্টেশনে ১৫০০ কিলোওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর প্যানেল বসাচ্ছেন। মাটির সঙ্গে সমতলে থাকা ওই স্টেশনের ছাদ ছাড়াও বাইরের পরিসর এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, মেট্রো কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় সাড়া দিয়ে নোয়াপাড়া কারশেডের অব্যবহৃত জমিতে আরও চার হাজার কিলোওয়াট এবং ছাদে পাঁচ হাজার কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর প্যানেল বসানোর অনুমোদন দিয়েছে রেল বোর্ড। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির অনুমোদনকে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসাবে দেখছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই প্রকল্পগুলি রূপায়িত হলে মেট্রোয় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি, কার্বন নিঃসরণের ফলে পরিবেশের ক্ষতি এড়াতেও এমন প্রচেষ্টা সহায়ক হবে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ এখন বছরে ৫৭ লক্ষ ইউনিট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে ৪৯ লক্ষ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমাতে পারছেন বলে জানিয়েছেন আধিকারিকেরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)