আবারও বিভ্রাট বাতানুকূল মেট্রোর কামরায়। যার ফল, মাঝপথে নেমে যেতে বাধ্য হলেন কয়েকশো নিত্যযাত্রী। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে গিরিশ পার্ক স্টেশনে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, যাত্রী বেশি হয়ে যাওয়াতেই কামরার ভিতরের আবহাওয়া গরম হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনার জেরে এ দিন ওই সময়ে মেট্রো চলাচলে প্রায় ১০ মিনিট দেরি হয়েছে।
মেট্রো সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে গিরিশ পার্ক স্টেশনে কবি সুভাষগামী একটি এসি মেট্রো থামতেই যাত্রীরা স্টেশনে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের জানান, একটি কামরার এসি কাজ করছে না। স্টেশন মাস্টার প্ল্যাটফর্মে গিয়ে যাত্রীদের অনুরোধ করেন, যাঁদের অসুবিধা হচ্ছে তাঁরা ওই ট্রেনটি থেকে নেমে পরের মেট্রোতে যেতে পারেন। এর পরে অনেক যাত্রী নেমে যান। বাকি যাত্রীদের নিয়ে ট্রেনটি ফের কবি সুভাষের দিকে রওনা দেয়।
তবে মেট্রো কর্তারা যতই কামরায় বেশি যাত্রী ওঠার দোহাই দিন না কেন, সমস্যাটা মেট্রোর বাতানুকূল যন্ত্রেরই। ওই রেকগুলির বেশ কয়েকটি কামরায় অনেক দিন ধরেই এসি-র ব্লোয়ারে (যার মাধ্যমে কামরায় ঠান্ডা বাতাস ছড়িয়ে দেওয়া হয়) সমস্যা রয়েছে। চেষ্টা করেও তা সারানো যায়নি। ফলে এমনিই ওই কামরাগুলিতে ঠান্ডা বাতাস ছড়ায় না।
কামরায় যাত্রী বেড়ে গেলে ওই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এমনিতেই এসি মেট্রোগুলির কামরায় জানলা বন্ধ থাকে। তার উপরে যদি পর্যাপ্ত বাতাস না দেওয়া হয়, তা হলে দমবন্ধ করা পরিবেশ তৈরি হবেই। ভুক্তভোগী যাত্রীরা প্রায় দিনই এই বিষয়টি চালকদের কাছে জানাচ্ছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মেট্রো কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধান করতে পারেননি।
বারবার বলার পরে এখন এসি মেট্রোর কামরায় জল পড়া বন্ধ হয়েছে। কিন্তু নতুন এসি রেক না আসা পর্যন্ত ঠান্ডা হাওয়া পাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে কি না, সে ব্যাপারে মেট্রোর কর্তারা কিছু জানাতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy