চাঁদনি চক স্টেশনে শর্ট সার্কিট থেকে মেট্রোর রেকে আগুন। দক্ষিণেশ্বর-শহিদ ক্ষুদিরাম যাত্রাপথে সাময়িক ব্যাহত পাতালরেল পরিষেবা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ চাঁদনি চক স্টেশনে শহিদ ক্ষুদিরামমুখী একটি মেট্রোর কামরায় আগুন লাগে। তড়িঘড়ি মেট্রো থেকে নামিয়ে আনা হয় যাত্রীদের। সেন্ট্রাল-সহ বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে পরের মেট্রোগুলি। ফলে সকালেই ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। মেট্রোকর্মীরা জানিয়েছেন, সাময়িক ব্যাহত হওয়ার পরিষেবা ফের স্বাভাবিক হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোটিকে কারশেডে পাঠানো হয়েছে। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
শর্ট সার্কিটের পর ওই মেট্রো থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। যাত্রীদের স্টেশনে নামানোর পর চাঁদনি চক স্টেশন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেটিকে। তার পর বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়া মেট্রোগুলির চাকা ফের গড়াতে শুরু করে। আট-সকালে ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের।
প্ল্যাটফর্মের পিলারে ফাটল ধরা পড়ায় নিউ গড়িয়া সংলগ্ন কবি সুভাষ স্টেশনে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। তার ফলে এমনিতেই অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। প্রাথমিক ভাবে অনুমান ছিল, বছরখানেক লেগে যেতে পারে প্ল্যাটফর্ম সম্পূর্ণ মেরামত হতে। কিন্তু বুধবার বিবৃতি দিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিলেন, প্ল্যাটফর্ম সম্পূর্ণ মেরামতের জন্য ন’মাসের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যেই আবার কবি সুভাষ পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবা চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে মেট্রো। কবি সুভাষ প্ল্যাটফর্ম আপাতত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো শাখার দক্ষিণের প্রান্তিক স্টেশন শহিদ ক্ষুদিরাম। এই পরিস্থিতিতে যাত্রী পরিষেবা বিঘ্নিতও হতে পারে বলে আশঙ্কা। অনেক নিত্যযাত্রীর আশঙ্কা, মেট্রোর সময়সূচি বদলে যাবে না তো!
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যা ঠিক হয়েছে, দক্ষিণেশ্বর-দমদম থেকে আসা মেট্রো শহিদ ক্ষুদিরামে যাত্রীদের নামিয়ে কবি সুভাষের দিকেই যাবে। তার পর সেখান থেকেই মেট্রো আপ লাইনে উঠে শহিদ ক্ষুদিরামে ফিরে আসবে। ফলে ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা নেই।