এই কারখানার ভিতরেই উদ্ধার হয় মৃতদেহ।
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর নিজের কারখানাতেই মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল কসবার বাসিন্দা শৈলেন অধিকারীকে।প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা খুন করা হয়েছে এই প্রৌঢ়কে। শৈলেনবাবুর মাথার পেছনে এবং মুখে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
তিলজলা থানার তপসিয়া রোডে লেদ কারখানা শৈলেনবাবুর। তিনি থাকেন পিকনিক গার্ডেন এলাকাতে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি অনেক সময় রাতে কারখানাতে থেকে যেতেন। আবার কখনও বাইরেও যেতেন ব্যবসার প্রয়োজনে। তাই শুক্রবার তিনি বাড়ি না ফেরায় কেউ খুব একটা উদ্বিগ্ন হননি।
কিন্তু শনিবার থেকে তাঁর মোবাইল ফোন সুইচড অফ পাওয়া যায়। বিকেলে সেই ফোন ফের অন পাওয়া যায়। শৈলেনবাবুর স্ত্রী ফোন করলে অপরিচিত কেউ ফোন তোলেন। তিনি দাবি করেন, শৈলেনবাবু ফোন ফেলে গিয়েছেন। কয়েক দিনের জন্য কটক গিয়েছেন ব্যবসার কাজে।
আরও পড়ুন, কর্মী কম, কে পথ দেখাবেন হাসপাতালে!
অপরিচিত ব্যক্তির কথায় সন্দেহ হয় পরিবারের। তাঁরা তিলজলা থানায় নিখোঁজের অভিযোগ জানান। তপসিয়া রোডে তাঁর কারখানার পাশে থাকা ব্যবসায়ীরা বলেন, “রবিবার সকালে শৈলেনবাবুর ছেলে কারখানায় আসেন। তিনি বাবার খোঁজ করছিলেন। ভিতরে হঠাৎই ডাঁই করা বস্তার পিছনে একটি হাত দেখতে পান শৈলেনবাবুর ছেলে।” এর পরই সেই বস্তার পেছন থেকে হদিশ মেলে শৈলেন বাবুর রক্তাক্ত দেহের। চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন, কলকাতায় পাওয়া গেল ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি’!
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের মাথার পিছন দিক এবং মুখে ভারি কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তদন্তকারীরা খুন বলে সন্দেহ করছেন। শৈলেনবাবুর ছেলে পুলিশকে জানিয়েছেন, কারখানায় দু’জন কর্মী থাকতেন। তাঁদেরও সন্দেহের বাইরে রাখছে না পুলিশ। তাদের জেরা করা হচ্ছে। তবে ঠিক কবে এবং কী ভাবে মৃত্যু তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। তিলজলা থানার পুলিশ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে।
(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy