Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Covid-19

করোনায় আক্রান্ত পরিবারের বাড়িতে লুট টাকা-গয়না

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার গভীর রাতে একদল দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে মহিলার কাছ থেকে আলমারির চাবি ছিনিয়ে নেয়। এর পরে অবাধে লুটপাট চালিয়ে তারা বেরিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২০ ০২:১৩
Share: Save:

করোনায় আক্রান্ত হয়ে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই হাসপাতালে। দু’টি বাচ্চাকে নিয়ে বাড়িতে কেবল ছিলেন এক মহিলা। এই সুযোগে বাড়িতে হামলা করে টাকা এবং গয়না লুটের অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে পূজালি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে।

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার গভীর রাতে একদল দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে মহিলার কাছ থেকে আলমারির চাবি ছিনিয়ে নেয়। এর পরে অবাধে লুটপাট চালিয়ে তারা বেরিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরে এক আত্মীয়ের সাহায্যে পুলিশে খবর দেন ওই মহিলা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দিন দশেক আগে ওই পরিবারের বড় ছেলে করোনায় আক্রান্ত হন। ব্যবসার সূত্রে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল তাঁর। সংক্রমিত হওয়ার পরে তাঁকে স্বাস্থ্য দফতর থেকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর দিন দুয়েক পরে পরিবারের বাকিদেরও লালারসের নমুনা পরীক্ষা হয়। দেখা যায়, আক্রান্তের বাবা, ভাই এবং ১৪ বছরের মেয়েও কোভিড পজ়িটিভ। গত মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট আসার পরে বুধবার আক্রান্ত যুবকের মায়ের মৃত্যু হয়। মৃতা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না বলেই পূজালি পুরসভা সূত্রের খবর। পুরসভার চেয়ারম্যান তাপস বিশ্বাসের দাবি, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বৃদ্ধার। তাঁর মৃত্যুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই সংক্রমিতদের হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বাস্থ্য দফতর। পুরসভার তরফে বৃদ্ধার সৎকার করা হয়। আক্রান্ত বড় ছেলের আট বছরের ছেলেকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আক্রান্ত ছোট ছেলের স্ত্রী তাঁদের ছয় ও দেড় বছরের দু’টি ছেলেকে নিয়ে বাড়িতেই থেকে যান।

পরিবার সূত্রের খবর, এই অবস্থায় বাড়ির সামনে এক জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে মোতায়েন করা হয়েছিল। ঘটনার সময়ে তিনি ছিলেন না বলেই অভিযোগ। মহিলা জানান, রাতে একাধিক বার তাঁকে ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি। চেয়ারম্যান বলেন, “পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ওই বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছি।”

শনিবার এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই পরিবারের ছোট ছেলে বলেন, “চোখের সামনে মা মারা গেলেন। এ দিকে সবাই হাসপাতালে। তার উপরে কয়েক লক্ষ টাকা ও গয়না চুরি হল। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, আমার স্ত্রী ও দু’টি বাচ্চাকে যথেষ্ট নিরাপত্তা দেওয়া হোক। দুষ্কৃতীদেরও দ্রুত ধরা হোক।”

ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এসপি ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। কী কী খোয়া গিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু করেছি। কয়েক জনকে জেরা করা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Covid-19 Loot
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE