—প্রতীকী চিত্র।
কলকাতায় উদ্বেগ বৃদ্ধি করে চলেছে করোনা ভাইরাস। নতুন করে আরও চার জনের দেহে এই ভাইরাসের উপস্থিতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ওই চার জনই শহরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে আনন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি কেষ্টপুরের এক বৃদ্ধা। দিন কয়েক আগে তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার পরেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ওই বৃদ্ধাকে। তাঁর বয়স ৭২ বছর।
এ ছাড়া, ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিন জন রোগীর দেহে করোনার খোঁজ মিলেছে। তিন জনই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তবে কোভিড নয়, অন্য রোগের কারণে আইসিইউতে রাখা হয়েছে তিন রোগীকে। চিকিৎসা চলাকালীন তাঁদের দেহে করোনার উপস্থিতি জানা যায়। করোনা আক্রান্ত ওই রোগীরা হলেন বালিগঞ্জের ৮৩ বছর বয়সি বৃদ্ধ, সন্তোষপুরের ৭৯ বছর বয়সি বৃদ্ধা এবং হাওড়ার দানেশ শেখ লেনের ৮৩ বছরের বৃদ্ধা। রোগীদের কারও কারও শরীরে কোমর্বিডিটি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাওড়ার বৃদ্ধা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর শ্বাসকষ্টও রয়েছে। সন্তোষপুরের বৃদ্ধা নিম্ন রক্তচাপ এবং রক্তবমির সমস্যায় ভুগছেন। তবে আনন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড নিয়ে যে বৃদ্ধাকে ভর্তি করানো হয়েছিল, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই খবর হাসপাতাল সূত্রে। নতুন করে সমস্যা বৃদ্ধি না পাওয়ায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে চিকিৎসকদের।
গত সপ্তাহে কলকাতায় পর পর দু’দিন আট জন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছিল। তালিকায় ছিল ছ’মাসের এক শিশুও। তাঁদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। করোনার যে নতুন উপরূপ জেএন.১ সম্প্রতি বিশ্বের নানা প্রান্তে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, কলকাতার কোনও রোগীর দেহে সেই উপরূপ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, কোনও নমুনাতেই জেএন.১ পাওয়া যায়নি। যা এক দিক থেকে স্বস্তির বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy