Advertisement
E-Paper

ফোন করে মিথ্যা টোপ দিয়েই প্রতারণা

ভুয়ো ফোন করে লোক ঠকানো টাকা জমা দেওয়া হত হাওড়া ও কলকাতার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে। সেই টাকার একাংশ দিয়ে যেমন গাড়ির যন্ত্রাংশ কিনে তা পাকিস্তানে পাঠানো হত, তেমনই অন্য অংশ সৌদি আরবে থাকা ভারতীয় শ্রমিকদের কাছে ঋণ হিসেবে পাঠিয়ে তাঁদের থেকে ওই দেশের মুদ্রা আয় করা হত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০০

ভুয়ো ফোন করে লোক ঠকানো টাকা জমা দেওয়া হত হাওড়া ও কলকাতার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে। সেই টাকার একাংশ দিয়ে যেমন গাড়ির যন্ত্রাংশ কিনে তা পাকিস্তানে পাঠানো হত, তেমনই অন্য অংশ সৌদি আরবে থাকা ভারতীয় শ্রমিকদের কাছে ঋণ হিসেবে পাঠিয়ে তাঁদের থেকে ওই দেশের মুদ্রা আয় করা হত। অর্থাৎ ভারতে আয় করা অবৈধ টাকা ঘুরপথে বৈধ হয়ে পৌঁছত পাকিস্তানে বসা চক্রীদের হাতে।

হাওড়া ও কলকাতার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা পাচার চক্রের তদন্তে নেমে এই তথ্য এসেছে বলে দাবি হাওড়া পুলিশের। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা স্বীকার করেছে, যে লক্ষাধিক টাকা প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যাঙ্কে জমা পড়ত তা আয় হত ভুয়ো কলের মাধ্যমে। যেমন, কলসেন্টার থেকে ফোনে মোবাইল গ্রাহকদের বলা হত তিনি দামি গাড়ি জিতেছেন। তাই নাম রেজিস্ট্রেশনে ২০ হাজার টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে। বা বিনা সুদে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এ জন্য ১০ হাজার টাকা রেজিস্ট্রেশনের খরচ দিতে হবে।

তবে ওই কলগুলি এ দেশের, না কি পাকিস্তানের বুথ থেকে করা হত সে বিষয়ে নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা। যেহেতু ধৃতদের থেকে পাকিস্তানের চার ব্যক্তির নাম ও নম্বর পাওয়া গিয়েছে তাই তাঁদের অনুমান, ওই চক্র পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রণ হত।

গত মাসের ২০ তারিখে একটি ব্যাঙ্ক জালিয়াতির তদন্তে নেমে সোমবার এমনই এক টাকা পাচার চক্রের কার্যকলাপ ফাঁস করে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। ওই থানার ওসি তথাগত পাণ্ডের নেতৃত্বে টানা পনেরো দিন ধরে হাওড়া ও প্রতিবেশী জেলাগুলিতে

তল্লাশি চালিয়ে চক্রের দুই পাণ্ডা-সহ সাত জনকে ধরা হয়। মঙ্গলবার ওই সব সন্দেহভাজনের সন্ধানে কলকাতা ও পাশ্বর্বতী জেলাগুলিতে ফের তল্লাশি করে পুলিশ।

এ দিন ধৃতদের জেরা করেন হাওড়ার পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের ভিতরের কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এর জাল বিস্তৃত বহু দূরে।’’ তদন্তে আসেন সিআইডি অফিসার-সহ রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের অফিসারেরা।

এ দিন দুই ধৃত বিহারের সিওয়ানের বাসিন্দা রঞ্জন যাদব এবং জুনেইদ আলমকে নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। মল্লিক বাজারের যে ব্যবসায়ীর থেকে গাড়ির যন্ত্রাংশ কিনে দুবাই দিয়ে পাকিস্তান পাঠানো হত তাঁর খোঁজেও তল্লাশি হয়।

Forgery Bank Cheque Pakistan Bank Account Bait Saudi Arabia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy