পুজোর পর থেকে আচমকা বাগুইআটির বিভিন্ন এলাকায় মশা এবং মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছিল। সম্প্রতি এর জেরে ওই এলাকার অশ্বিনীনগরে এক মহিলা পুলিশকর্মীর মৃত্যুও হয়েছে। এর পরেই বাগুইআটির বিভিন্ন এলাকার বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনে গিয়ে জমানো জলে মশার লার্ভার হদিস মিলেছিল বলে জানাচ্ছে বিধাননগর পুরসভা। তাদের দাবি, সরানো হয়েছে সেই জমা জল। কিন্তু তার পরেও এলাকা থেকে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছিল।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে পুরসভার একটি দল শনিবার সকালে বাগুইআটির পূর্ত দফতরের আবাসন, তাদের অফিস এলাকা ও গুদামে হানা দেয়। দু’টি ওয়ার্ড জুড়ে পূর্ত দফতরের ওই এলাকা। বিধাননগর পুরসভার অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে বারবার বলা সত্ত্বেও ওই সব জায়গায় সাফাই করেনি সংশ্লিষ্ট দফতর। সেখান থেকে শনিবার বিপুল পরিমাণে লার্ভা মিলেছে বলে পুরসভার দাবি। অবিলম্বে ওই এলাকা পরিষ্কার না করলে পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, তা মানছে বিধাননগর পুরসভা। ইতিমধ্যেই তারা পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বার দফতরের কর্তাদের চিঠি পাঠাচ্ছে পুরসভা।
এক পুরকর্তা জানান, ১৮ এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশ জুড়ে পূর্ত দফতরের কর্মচারীদের আবাসন ও গুদাম রয়েছে। সেখানে অন্য সরকারি দফতরের অফিসও রয়েছে। ওই এলাকা থেকেই ছ’জন কর্মচারীর জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর পায় পুরসভা। তার পরেই এ দিনের অভিযান চলে।