এখানেই তৈরি হবে উদ্যান। ছবি: সুদীপ ঘোষ।
দার্জিলিংয়ে নিহত রাজ্য পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর অমিতাভ মালিকের স্মৃতি রক্ষার্থে উদ্যান তৈরি হতে চলেছে মধ্যমগ্রামে। জমি চিহ্নিত করে তার নকশাও করে ফেলেছে পুরসভা।
গত ১৩ অক্টোবর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙ্গকে গ্রেফতার করার অভিযানে গিয়ে গুলিতে নিহত হন মধ্যমগ্রাম পাটুলির শরৎকাননের বাসিন্দা অমিতাভ। তাঁর বাড়ির অদূরেই নিহত সাব-ইনস্পেক্টরের স্মৃতি রক্ষার উদ্দেশ্যে উদ্যানের জায়গা বাছাই করেছে পুরসভা। কয়েক দিন আগে পুর-ইঞ্জিনিয়ারেরা শরৎকাননের আড়াই কাঠা জমিটি দেখেন। বাছাই করা জমিটি খানিকটা নিচু, সে কারণেই জমিটি উঁচু করার জন্য মা়টি ফেলার কাজ শুরু করতে চলেছে পুরসভা। আগামী সোমবার থেকে উদ্যানের কাজ শুরু হচ্ছে। খরচ আনুমানিক ছ-সাত লক্ষ টাকা।
সেখানেই পাথরের তৈরি অমিতাভের একটি আবক্ষ মূর্তিও বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন স্থানীয় সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পঙ্কজ চন্দ। তিনি জানান, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যে অমিতাভের মূর্তি করেছেন এক অধ্যাপক। তা কাউন্সিলরের কাছে হস্তান্তর করেছেন তিনি। উদ্যানের কাজ শেষ হলে মূর্তিটি সেখানে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলর। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, পার্কের নাম হবে ‘শহিদ অমিতাভ মালিক স্মৃতিরক্ষা উদ্যান’। পঙ্কজবাবুর বক্তব্য, ‘‘অমিতাভ মালিক রাজ্য তথা দেশের গর্ব। তিনি যে ভাবে বিছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, তা সকলের কাছে শিক্ষণীয়। তাই তাঁর স্মৃতিতে এই শ্রদ্ধার্ঘ্য।
অমিতাভ নিহত হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন উদ্যান করার কথা ভেবেছিল পুরসভা। কিন্তু নির্বাচনী বিধির কারণে কাজ এগোয়নি বলে দাবি মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান রথীন ঘোষের। তাঁর কথায়, ‘‘দ্রুত কাজ শেষ হবে।’’ অমিতাভের স্ত্রী বিউটি দত্ত মালিক বলেন, ‘‘আমি চাই, অমিতাভের নাম সকলের মধ্যে থাকুক।’’ অমিতাভের ভাই অরুণাভর বক্তব্য, ‘‘কাউন্সিলর এবং পুরসভার এটি ভাল উদ্যোগ। এ ভাবেই সবার কাছে থাকুক দাদা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy