Advertisement
E-Paper

প্রশাসনের উদ্যোগে পাঁচ নম্বর সেক্টরে বসছে কম্প্যাক্টর

সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুককে আবর্জনা-মুক্ত করতে বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় কাজ শুরু হয়েছিল আগেই। এ বার সেই প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করতে পাঁচ নম্বর সেক্টরে কম্প্যাক্টর বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৬ ০২:১০
বদলে যাবে এই ছবি।ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

বদলে যাবে এই ছবি।ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুককে আবর্জনা-মুক্ত করতে বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় কাজ শুরু হয়েছিল আগেই। এ বার সেই প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করতে পাঁচ নম্বর সেক্টরে কম্প্যাক্টর বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আপাতত ঠিক হয়েছে, পাঁচ নম্বর সেক্টরের দু’টি জায়গায় কম্প্যাক্টর বসানো হবে। পরে আরও একটি জায়গায় শুরু হবে ওই যন্ত্র বসানোর কাজ। প্রায় এক কোটি টাকার প্রকল্প ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন শিল্পতালুকের দায়িত্বপ্রাপ্ত নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ।

এই শিল্পতালুকে বসতবাড়ির সংখ্যা হাতেগোনা। মূলত সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, রেস্তোরাঁ, মলের আধিক্যই বেশি। তাতে অবশ্য আবর্জনার পরিমাণের হেরফের হয় না। নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, প্রতি দিন বিভিন্ন অফিস, রেস্তোরাঁ এবং রাস্তায় পড়ে থাকা আবর্জনার পরিমাণ গড়ে ২২ টন। সারা মাসে যা প্রায় ৬৫০ মেট্রিক টন।

এর আগে নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ সব ক’টি ভ্যাট তুলে দিয়েছিলেন। বদলে এক বেসরকারি সংস্থার হাতে শিল্পতালুকের বিভিন্ন অফিস ও রাস্তা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ এবং রাস্তা ঝাঁট দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষ জানান, এর জন্য মাসে খরচ হয় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। কিন্তু তাতেও বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। বেশি সমস্যা দেখা দেয় মোল্লার ভেড়ি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। সেখানে জায়গা ছিল অপ্রতুল। উপরন্তু, ব্যাটারি চালিত গাড়িতে বিভিন্ন অফিস থেকে সমস্ত আবর্জনা সংগ্রহ করে তা একটি জায়গায় জড়ো করে তার পরে মোল্লার ভেড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

এই সব সমস্যা মাথায় রেখেই কম্প্যাক্টর বসানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল পাঁচ নম্বর সেক্টর। এ বার তা কার্যকর করা হবে। আপাতত বসবে দু’টি কম্প্যাক্টর —একটি জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের পাশে, অন্যটি স্বাস্থ্য ভবনের উল্টো দিকে। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, প্রতি দিন দু’বার করে রাস্তা সাফ করা হলেও বিভিন্ন দোকানের পাশে, অফিস চত্বরে আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের আরও অভিযোগ, দিনে মাত্র এক বার বিভিন্ন অফিস থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু যেখানে রোজই দুই থেকে তিনটি শিফ্‌টে কাজ হয়, সেখানে দিন-রাতের আবর্জনা একবারে সংগ্রহ করা মুশকিল। তাই এই প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করার দাবি জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরাই।

নবদিগন্তের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘এই এলাকাকে আগেই ভ্যাটমুক্ত করা হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়াকে আরও স্বাস্থ্যসম্মত করতে কম্প্যাক্টর বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ তবে রাস্তা সাফাই কিংবা আবর্জনা সংগ্রহের এই প্রক্রিয়াকে সব দিক বিবেচনা করে কী ভাবে আরও গতিশীল করা যায়, সে বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নবদিগন্তের আধিকারিকেরা।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy