Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

দেহ উদ্ধারের দেড় মাস পরে খুনের অভিযোগ

পুলিশ জানায়, গত ১৪ জুলাই রাতে দমদম ও বেলঘরিয়া স্টেশনের মাঝে রেললাইনের ধারে উদ্ধার হয় সোনালি সর্দার (২৪) এবং তুলসী হালদার (২৫)- এর দেহ। তাঁরা দুই বান্ধবী।

তুলসী ও সোনালী।

তুলসী ও সোনালী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৯ ০১:১২
Share: Save:

রক্তাক্ত অবস্থায় রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছিল দুই তরুণীর দেহ। দেড় মাস আগের ওই ঘটনায় সোমবার রাতে দমদম রেলপুলিশের থানায় এক যুবকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হল। অভিযোগকারীর দাবি, চলন্ত ট্রেনের সামনে ধাক্কা দিয়ে ওই দুই মহিলাকে ফেলে দিয়ে খুন করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ১৪ জুলাই রাতে দমদম ও বেলঘরিয়া স্টেশনের মাঝে রেললাইনের ধারে উদ্ধার হয় সোনালি সর্দার (২৪) এবং তুলসী হালদার (২৫)- এর দেহ। তাঁরা দুই বান্ধবী। বাড়ি টালা থানা এলাকার পাতিপুকুরের সুভাষ কলোনিতে। সোনালির ভাই কার্তিক মণ্ডল সোমবার ওই খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরে রেলপুলিশও খুনের মামলা রুজু করেছে।

মঙ্গলবার সোনালির বাবা গোপাল হালদার জানান, তাঁর মেয়ে পরিচারিকার কাজ করতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মেয়েকে রেখে বেরিয়েছিলেন সোনালি। সঙ্গে ছিলেন তুলসী। গোপালবাবুর কথায়, ‘‘ফিরতে দেরি হওয়ায় ফোন করলেও মেয়ে ফোন ধরেনি। রাত ১০টার পরে তুলসীর ফোন থেকে পুলিশ জানায় দমদম রেলপুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। জানা যায়, ট্রেনের ধাক্কায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তুলসীর ফোন উদ্ধার হলেও সোনালির ফোন মেলেনি।’’

এত দিন পরে কেন খুনের অভিযোগ দায়ের করা হল? গোপালবাবুর দাবি, রেল তাঁদের জানায়, ট্রেনের ধাক্কায় সোনালিদের মৃত্যুর কথা ট্রেনের চালক লিখিত আকারে জানিয়েছেন। গোপালবাবু জানান, তাঁরা জানতে পারেন দমদমের বসাকবাগানের এক যুবকের সঙ্গে সোনালির সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। ওই যুবক সোনালির থেকে পনেরো হাজার টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে তা ফেরত দিচ্ছিলেন না। পুলিশের কাছে কার্তিকের অভিযোগ, টাকা ফেরতের গোলমালেই সোনালিরা খুন হন। কার্তিক পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর দিদি ট্রেনে কাটা পড়ার পরে দুই যুবক রেললাইন থেকে নেমে বাইকে চেপে পালিয়ে গেছেন বলে তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন।

রেলপুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, দেহ উদ্ধারের পরে প্রাথমিক তদন্ত হয়েছিল। জানা যায়, আপ লালগোলা প্যাসেঞ্জারের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। ওই ট্রেনের চালক পুলিশের কাছে দাবি করেছিলেন, দুই তরুণী রেললাইন ধরে বেপরোয়া ভাবে হাঁটছিলেন। এমনকি ট্রেনের হুইস্‌ল বাজালেও তাঁরা লাইন ছেড়ে যাননি বলে চালকের দাবি পুলিশের কাছে। রেলপুলিশের এক কর্তা জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দু’জনের মোবাইল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে খোঁজ চলছে অভিযুক্ত যুবকের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dumdum RPF Belgharia murder crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE