Advertisement
E-Paper

নবান্ন অভিযানে বাধা, শ্রম দফতরে স্মারকলিপি প্রতিবন্ধীদের

মঞ্চের দাবি, শিক্ষার সব স্তরে ব্রেলে পাঠ্যবই সরবরাহের ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:১৩
সারিবদ্ধ: একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে মিছিল প্রতিবন্ধীদের। মঙ্গলবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী।

সারিবদ্ধ: একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে মিছিল প্রতিবন্ধীদের। মঙ্গলবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী।

খাদ্যসাথী প্রকল্পে প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্তি, স্পেশ্যাল স্কুলের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষাদান, শিক্ষার সব স্তরে ব্রেল বই দেওয়া, চার শতাংশ চাকরিতে সংরক্ষণ কার্যকর করা, বাসে বিনা ভাড়ায় যাতায়াত-সহ ১৮ দফা দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রতিবন্ধী ঐক্য মঞ্চ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল করে নবান্নে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন মঞ্চের সদস্যেরা। কিন্তু মিছিল শুরুর সময়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মিছিল না করার কথা বলা হয়। শেষ পর্যন্ত মিছিলকারীরা ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন। সেখান থেকে তাঁদের প্রতিনিধিরা নব মহাকরণে শ্রম দফতরে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন।

মঞ্চের সভাপতি সনৎ মহন্ত জানান, রাজ্য সরকার ২০১৬ সালের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সংক্রান্ত আইনকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছে না। খাদ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনায় সমস্ত দুঃস্থ প্রতিবন্ধীর অন্তর্ভুক্তির দাবি দীর্ঘদিনের। এ রাজ্যে এখনও এর কোনও অগ্রগতি ঘটেনি। ‘মানবিক’ নামে প্রতিবন্ধীদের দেওয়া একটি ভাতার পরিমাণ মাসিক ১০০০ টাকা, অন্য আর একটি ভাতার পরিমাণ ৭৫০ টাকা। এই দুর্মূল্যের বাজারে এই সাহায্য দিয়ে কিছুই হয় না বলে সনৎবাবুর দাবি। বাসমালিকেরা বাসভাড়া বাড়াচ্ছেন। সেই ভাড়া প্রতিবন্ধী যাত্রীদেরও দিতে হচ্ছে। লকডাউনের পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেনে নামের সঙ্গে স্পেশ্যাল কথাটি জুড়ে দিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত কামরা। বন্ধ হয়েছে ট্রেনের টিকিটে ৭৫ শতাংশ ছাড় পাওয়ার সুযোগও।

দৃষ্টিহীন, মূক-বধির আর মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য স্পেশ্যাল স্কুলের দাবি করা হলেও তাদের সাধারণ স্কুলেই যেতে হচ্ছে। অথচ, সেই সব স্কুলে দৃষ্টিহীনদের ব্রেল শেখানোর কেউ নেই। মূক-বধির বা মানসিক প্রতিবন্ধীদের পঠনপাঠনের কোনও পরিকাঠামা নেই এই সব স্কুলে। ব্রেলে পাঠ্যবই পাওয়ায় এখনও বঞ্চিত বহু দৃষ্টিহীন পড়ুয়া। এই মঞ্চের দাবি, শিক্ষার সব স্তরে ব্রেলে পাঠ্যবই সরবরাহের ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। সনৎবাবু জানান, আইন-স্বীকৃত হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবন্ধীদের জন্য চার শতাংশ চাকরিতে সংরক্ষণ এ রাজ্যে আজও কার্যকর হয়নি। বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও প্রতিবন্ধীরা কোন কোন কাজের যোগ্য, তা ঠিক করার জন্য কোনও সমীক্ষা আজও হয়নি। একই ভাবে আইনি নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বেকার প্রতিবন্ধীদের দেওয়া হচ্ছে না কোনও ভাতা। যা অন্য কয়েকটি রাজ্যে চালু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, এই মঞ্চের দাবি, প্রতিবন্ধী মহিলাদের সব রকম নির্যাতন ও ধর্ষণ থেকে বাঁচাতে সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে।

Nabanna Specially abled people
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy