National Green Tribunal —ফাইল চিত্র।
কলকাতা ও হাওড়ায় গঙ্গার দূষণ সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করল জাতীয় পরিবেশ আদালত। আদালতের নির্দেশ, গঙ্গা-দূষণ কী ভাবে হচ্ছে, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে দু’মাসের মধ্যে হলফনামা-সহ রিপোর্ট জমা দিতে হবে কমিটিকে। এই কাজে কমিটিকে সাহায্য করবেন হাওড়ার জেলাশাসক।
জাতীয় পরিবেশ আদালতে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের দায়ের করা গঙ্গা-দূষণ সংক্রান্ত একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে ওই আদালত। সুভাষ সম্প্রতি আদালতে তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, হাওড়ার দিকে শিবপুরের টোপিওয়ালা ঘাটের কাছে একটি ধোপাখানা থেকে কাপড় কাচার ক্ষারমিশ্রিত জল নদীতে ফেলা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই তাঁর অভিযোগ, রানি রাসমণি ঘাট, মল্লিক ঘাট, বাগবাজার ঘাট, শোভাবাজার ঘাট, কাশী মিত্র ঘাট ও নিমতলা ঘাটের মতো বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘাট আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। আদালতে এ-ও জানানো হয়, শিবপুরের বিচালি ঘাটে গঙ্গার ধারে গড়ে ওঠা কয়েকটি ছোট কারখানায় নর্দমার পাঁক থেকে সোনার গুঁড়ো বার করতে অ্যাসিড ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই অ্যাসিড-জলও মিশছে গঙ্গায়।
গঙ্গা-দূষণ কমিটিতে আছেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক বিজ্ঞানী, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক বিজ্ঞানী, ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গার এক বিজ্ঞানী, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা এবং হাওড়া ও কলকাতা পুরসভার দুই অফিসার। পরবর্তী শুনানি ২২ এপ্রিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy