টালি নালার পলি ও বর্জ্য পরিষ্কারে কেন দেরি হচ্ছে, তা নিয়ে কলকাতা পুরসভার কাছে জবাব চাইল জাতীয় পরিবেশ আদালত। চলতি সপ্তাহে টালি নালা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আদালতের নির্দেশ, চার সপ্তাহের মধ্যে পুরসভাকে নিজের অবস্থান জানিয়ে হলফনামা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, রাজপুর-সোনারপুর, বারুইপুর পুরসভা এবং কলকাতা পুরসভার অধীনস্থ গড়িয়া ও টালিগঞ্জ এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে জল প্রকল্প গ্রহণ করেছিল কেএমডিএ। পাইপলাইন বসানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। পরিবেশ আদালত গত বছরের জানুয়ারিতে কেএমডিএ-কে নির্দেশ দেয়, পাইপলাইন বসানোর প্রক্রিয়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট’ দাখিল করতে হবে। কিন্তু, তা না হওয়ায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে মে মাসে শো-কজ় নোটিস জারি করে আদালত। যার উত্তরে জুন মাসে কেএমডিএ জানায়, টালি নালার একাংশে কলকাতা পুরসভার পলি ও বর্জ্য পরিষ্কারের কাজের জন্য জল প্রকল্পের পাইপ বসানো যাচ্ছে না।
এ দিকে ঘটনাপ্রবাহ জানাচ্ছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে কলকাতা পুরসভা আদালতে জানিয়েছিল, দূষণ রোধ ও জলের প্রবাহ অব্যাহত রাখার জন্য দু’ধাপে টালি নালা থেকে বর্জ্য, ভাসমান নোংরা, পলি পরিষ্কারের কাজ হচ্ছে। প্রথম ধাপে ১১.১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪.৭ কিলোমিটার অংশ পরিষ্কারের কাজ করা হচ্ছে। সে বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই কাজের ৪০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫.৩৭ কিলোমিটারব্যাপী টালি নালা পরিষ্কারের জন্য দরপত্র আহ্বানের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
গত বুধবার মামলার শুনানিতে পরিবেশ আদালত এই মামলায় গঠিত এক বিশেষ কমিটির রিপোর্টের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে। ২০২২ সালের নভেম্বরে জমা পড়া ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, টালি নালার বিভিন্ন অংশে যে পরিষ্কারের কাজ চলছে, তা পরিদর্শনে উঠে এসেছে। টালি নালা থেকে নিষ্কাশিত বর্জ্য ও পলি রাখার জন্য হিডকো ২৫ কাঠা জমিও বরাদ্দ করেছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছিল। কিন্তু তার পরে দেড় বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও কেন এখনও পুরো কাজ সম্পূর্ণ হয়নি, তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)