বিপজ্জনক: বাঁশের সেতুতেই পা। নিজস্ব চিত্র
একটি দুর্ঘটনা অনেকটাই সচেতন করেছে মানুষকে। গঙ্গায় নিত্য দিন ফেরি পারাপার করছেন যাঁরা তাঁদের থেকেও বেশি সচেতন ঘাট সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা। তাই ঝড় উঠতেই ইছাপুর নবাবগঞ্জ ঘাটের কাছের ব্যবসায়ীরাই সাবধান করছেন যাত্রীদের। ব্যবসায়ী সুনীল সাহা বলেন, ‘‘কত চেনা, অচেনা মুখ প্রতি দিন পারাপার করছে। তাই সাবধান করি।’’
উত্তর ব্যারাকপুরের নবাবগঞ্জের ফেরি ঘাটটির বেহাল দশা দীর্ঘদিন ধরে। বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো গিয়েছে গঙ্গায়। সাঁকোর গায়ে দড়ি দিয়ে বাঁধা নৌকা টলমল করে হাওয়া দিলেই। সরু সাঁকোয় রেলিং নেই। জোয়ারের সময়ে জলের ছাট লাগে সাঁকো পারাপারকারীদের গায়ে। ঘোষপাড়া রোড থেকে খানিকটা দূরে এই ফেরি ঘাট। ঘাটে পৌঁছোতে অটো-টোটোই ভরসা। সম্প্রতি ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পীযূষ গোস্বামী ও উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ ঘাট পরিদর্শন করে যাত্রী নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তা খতিয়ে দেখেছেন। ঘাটে অবিলম্বে বাঁশের সাঁকোর বদলে অস্থায়ী কিন্তু শক্ত সাঁকো বানানোর কথা হয়েছে। নিত্যযাত্রী রমেশ হালদারের কথায়, ‘‘কখনও ঘাট সংস্কার হতে দেখিনি।’’ উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ বলেন, ‘‘পূর্ত দফতর ঘাট নিয়ে রিপোর্ট দেবে জেলা প্রশাসনকে। আমরাও ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy