Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
life sentence

দশক পেরোনো খুনের মামলায় যাবজ্জীবন প্রতিবেশীর

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনাটি ঘটে ২০০৮ সালের ৩ মে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১৯
Share: Save:

প্রতিবেশীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল এক ব্যক্তির। সাজাপ্রাপ্তের নাম সন্তোষ দাস। বুধবার হাওড়া জেলা আদালতের অতিরিক্ত প্রথম দায়রা বিচারক সর্বাণী মল্লিক চট্টোপাধ্যায় এই রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাবাসের পাশাপাশি ১০ হাজার জরিমানা হয়েছে অভিযুক্তের। অনাদায়ে আরও ছ’মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনাটি ঘটে ২০০৮ সালের ৩ মে। ওই দিন রাত প্রায় ১২টা নাগাদ দাশনগর মেলাতলার বাসিন্দা সুজিত ঠাকুর এবং তাঁর স্ত্রী ললিতা যখন খাওয়াদাওয়ার পরে শুতে যাচ্ছিলেন, সে সময়ে পড়শি সন্তোষ এসে সুজিতকে ডাকে। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কিছু ক্ষণ কথা বলার পরে সুজিতকে নিয়ে চলে যায় সন্তোষ। ওই রাতে সুজিত আর বাড়ি ফেরেননি। পরের দিন সকালে দাশনগরের দক্ষিণ শানপুর জেলেপাড়ায় একটি ক্লাবের পাশের মাঠে গলার নলি কাটা ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়।

খবর পেয়ে মর্গে গিয়ে স্বামীর দেহ শনাক্ত করেন ললিতা। ওই দিনই তিনি থানায় সন্তোষের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় সন্তোষকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধরা হয় তারই এক সাগরেদ জগু মল্লিককে। পুলিশ জানায়, সুজিতকে খুন করতে সন্তোষকে সাহায্য করেছিল জগু।

আদালত সূত্রের খবর, বিচার চলাকালীন মারা যায় জগু। তার পরে গত ১২ বছর ধরে একা সন্তোষের বিরুদ্ধে এই মামলা চলে। সরকারি আইনজীবী নির্মলেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষ্য দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

life sentence Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE