Advertisement
E-Paper

তৈরি হবে বাগড়ির নতুন নকশা 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মার্কেট পরিদর্শন করে দেখে গিয়েছিল আইআইটি খড়গপুর ও আইআইটি রুরকির বিশেষজ্ঞ দল। বিশেষজ্ঞ দলের তরফে প্রাথমিক ভাবে যে সমস্ত সুপারিশ করা হয়েছে, তার উপরে ভিত্তি করেই এ দিন কেন্দ্রীয় পুরভবনে একটি বৈঠক হয়।

পুড়ে যাওয়া বাগড়ি মার্কেট। ফাইল চিত্র

পুড়ে যাওয়া বাগড়ি মার্কেট। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৪৯
Share
Save

নির্মাণের সময়কাল থেকে বর্তমানে কাঠামোর কোনও পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা নিরূপণ করতে আইআইটি বিশেষজ্ঞদের সুপারিশমতো বাগড়ি মার্কেটের একটি নতুন নকশা তৈরি করা হবে। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই স্থপতিদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে তাঁদের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবে কলকাতা পুরসভা।

সেই নতুন নকশার উপরে ভিত্তি করেই ঠিক হবে মার্কেটের কাঠামোগত কোনও পরিবর্তন করা হবে, না কি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি ভেঙে ফেলা হবে। শুক্রবার বাগড়ি মার্কেট নিয়ে এক বৈঠকের পরে এমনটাই জানালেন মেয়র তথা দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। বাগড়ি মার্কেটের ‘স্ট্রাকচারাল ডিজাইন’ সম্প্রতি খুঁজে পেয়েছে পুরসভা। সেই নকশার উপরে ভিত্তি করেই ওই নতুন নকশা বা ‘আর্কিটেকচারাল ডিজাইন’ তৈরি করা হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মার্কেট পরিদর্শন করে দেখে গিয়েছিল আইআইটি খড়গপুর ও আইআইটি রুরকির বিশেষজ্ঞ দল। বিশেষজ্ঞ দলের তরফে প্রাথমিক ভাবে যে সমস্ত সুপারিশ করা হয়েছে, তার উপরে ভিত্তি করেই এ দিন কেন্দ্রীয় পুরভবনে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে মেয়র ছাড়াও কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার, পুলিশ ও দমকলের পদস্থ কর্তা, পুরসভার বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক, বাগড়ি মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতি-সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষজ্ঞদের দেওয়া পরামর্শ নিয়েই মূলত আলোচনা হয় বৈঠকে। বৈঠকের পরে মেয়র বলেন, ‘‘অগ্নিকাণ্ডের ফলে বাগড়ি মার্কেটের এ ব্লকের ২০০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারেন, তার জন্য পুলিশের তরফে গেট বন্ধ রাখা হচ্ছে। বাকি ৮২১টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কিন্তু সেগুলি খোলার জন্য তাড়াহুড়ো না করে আগে অগ্নিসুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। দমকল ও পুলিশ পরিদর্শনের পরে সে ব্যবস্থা সম্পর্কে সন্তুষ্ট হলে তার পরেই দোকানগুলি খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে চলা এ দিনের বৈঠকে কলকাতা পুলিশের তরফে মার্কেটের দোকানের বিমা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বলে মেয়র জানিয়েছেন। কারণ, বাগড়ি মার্কেটের মাত্র পাঁচ শতাংশ দোকান বিমার আওতায় রয়েছে বলে অগ্নিকাণ্ডের পরে জানা গিয়েছে। ভবিষ্যতে মার্কেটে এ রকম অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে ট্রেড লাইসেন্সের সঙ্গে বিমার ব্যবস্থাটি যুক্ত করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘‘আগে বিল্ডিং দফতর, দমকল মার্কেট নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করবে। তার পরে বিষয়টি নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।’’ কিন্তু অনেকেরই বক্তব্য, যে কোনও বড় অগ্নিকাণ্ডের পরে এ রকম হইচই হলেও বেশি দিন সে সব নিয়ম থাকে না। এ ক্ষেত্রেও তেমন হবে না তো? মেয়র বলেন, ‘‘কলকাতা বড় শহর। কে কোথায় কী করছেন, তা সব সময়ে জানা যায় না। তবে অতীত থেকে অনেক শিক্ষা নিতে হচ্ছে। অভিজ্ঞতাও বাড়ছে। তাই অগ্নি-নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে আরও কঠোর হতে হবে।’’

তবে শুধু বাগড়ি নয়, শহরের পুরনো মার্কেটগুলিতে খোলা তারের সমস্যার বিষয়টিও এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তীকালে সেগুলির ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মেয়র।

Design Market Bagri Market

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}