উদ্যোগ: চলছে জলপ্রকল্পের কাজ। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
মাটির নীচের জলের ব্যবহার বন্ধ করতে দক্ষিণ শহরতলির সোনারপুরে শুরু হল জলপ্রকল্পের কাজ। আমরুট (অটল মিশন ফর রিজুভিনেশন অ্যান্ড আরবান ট্রান্সফর্মেশন) প্রকল্পের এই কাজের জন্য খরচ হবে ৭৫১ কোটি টাকা। আর্থিক দায়িত্ব কেন্দ্র, রাজ্য এবং সোনারপুর পুরসভার। প্রকল্প রূপায়ণের মূল দায়িত্বে কেএমডিএ। কাজ শেষ হলে রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকার ৩৫টি ওয়ার্ডের ঘরে ঘরে এই জল পৌঁছবে বলে জানাচ্ছেন রাজপুর-সোনারপুর পুর কর্তৃপক্ষ।
৪৯.২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকার মাটির নীচের জলই মূল ভরসা। পুর এলাকায় নলকূপের সংখ্যা ৬৪টি। নতুন পুরবোর্ড আসার পরে বেশ কয়েকটি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। এতে জলের যোগান বেড়েছে। জলের আর একটি উৎস নোদাখালি থেকে আসা আর্সেনিক মুক্ত জল। প্রতি দিন ২০ লক্ষ গ্যালন জল আসার কথা ওই প্রকল্প থেকে। কিন্তু আসে ১৬ লক্ষ গ্যালন। ফলে ঘাটতি থেকে যায়।
পুরপ্রধান পল্লব দাসের কথায়, ‘‘মাটির নীচের জলস্তর নেমে যাচ্ছে। তার উপর এলাকাটাই আর্সেনিকপ্রবণ। তাই এই প্রকল্পের ভাবনা।’’
পুরসভা সূত্রে খবর, নোদাখালি থেকে গঙ্গার জল ইনটেক জেটির মাধ্যমে তুলে আনা হবে লস্করপুরের পরিশোধনাগারে। সেখান থেকে পরিশোধিত জল মাটির নীচের চারটি জলাধারে যাবে। পেয়ারাবাগানে রয়েছে একটি জলাধার। অন্য জলাধারটি হবে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে লস্করপুর পরিশোধনাগারের কাছে। অন্য দু’টির একটি হবে পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড গড়িয়ায়। আরও একটি হবে আট নম্বর ওয়ার্ড সোনারপুরে। সেখান থেকে পরিশোধিত জল যাবে মোট ১৯টি ওভারহেডের জলাধারে। সেখান থেকে সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছবে।
পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রকল্প পুরোদমে শুরু হলে প্রতি দিন ৩ কোটি গ্যালন জল আসার কথা। ২০১৯-এর মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই কোদালিয়া, বোড়ালের নিউবয়েজ ক্লাব এবং রানিয়ায় ওভারহেড জলাধার তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, তিনটি ধাপে হবে প্রকল্প। প্রথমে জল শোধনাগার-সহ কয়েকটি জলাধারের কাজ হবে। পরের ধাপে গঙ্গা থেকে জল তুলে এনে শোধনাগারে পাঠানো হবে এবং তৃতীয় ধাপে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছনোর কাজ হবে। চার বছর লাগবে কাজ সম্পূর্ণ হতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy