সিকিম থেকে পড়তে আসা পাঁচ জনজাতি পড়ুয়াকে জাতপাত তুলে কটূক্তি এবং মারধরের অভিযোগ উঠল নিউ টাউনের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। দাবি, নিগ্রহের শিকার হয়ে ওই পড়ুয়ারা শহরও ছেড়ে সিকিমে চলে গিয়েছেন। এই ঘটনায় তফসিলি জাতি এবং জনজাতি সুরক্ষা আইনের আওতায় বিধাননগরের টেকনো সিটি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।
অভিযোগকারী ‘নিগৃহীত’ পড়়ুয়ারা সকলেই আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে। সকলেই প্রথম বর্ষের ছাত্র। তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময় অভিযোগকারীরা কোথায় ছিলেন, তা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে রেজিস্টার খাতা। তার পর জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু হবে। এই অভিযোগের তদন্ত এক সিনিয়র আধিকারিক করছেন বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অমৃতা সাহা বলেন, ‘‘ঘটনার সূত্রপাত ক্যাম্পাসের বাইরে। পরে ক্যাম্পাসের মধ্যেও তার প্রভাব এসে পড়ে। ঘটনার পরের দিনই আমরা অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করেছি। উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা রজু করেছে। আমরা পুলিশকে তদন্তে সব রকম ভাবে সাহায্য করছি।’’
সূত্রের খবর, পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ সেপ্টেম্বর। অভিযোগকারী পাঁচ ছাত্রের দাবি, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে খেলতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের খেলতে বাধা দেন কয়েক জন সিনিয়র। অভিযোগ, তাঁদের জাত তুলে গালিগালাজও করা হয়। প্রথম বর্ষের ছাত্রেরা তার প্রতিবাদ করলে মারধরও করা হয় তাঁদের। এই ঘটনার পর প্রাণের ভয়ে তাঁরা কলকাতা ছেড়েছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অভিযোগকারী পড়ুয়ারা। তাঁরা সিকিমে গিয়ে সদর থানার দ্বারস্থ হন। সেখানে জ়িরো এফআইআর রুজু হয়। তার পর তা পাঠানো হয় বিধাননগর কমিশনারেটে।