Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Kolkata Police

রাতভর সংঘর্ষ, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভাঙচুর, শাসকদলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তাল টালিগঞ্জ

রাস বাড়ি লেনের এক বাসিন্দা বলেন,“এখানে শাসক দলের দু’টি গোষ্ঠী। এক দিকে স্থানীয় বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ট ওয়ার্ডের যুব সভাপতি বিপ্লব সরকার ওরফে রাজা। অন্যদিকে, ওয়ার্ডের পাঁচ বারের কাউন্সিলর মালা রায়।’’

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভাঙচুর তৃণমূলের অফিস। নিজস্ব চিত্র।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভাঙচুর তৃণমূলের অফিস। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ ২০:০১
Share: Save:

প্রোমোটিংকে কেন্দ্র করে শাসক দলের দু’পক্ষের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ চলল কলকাতা পুরসভার ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে কেওড়াতলা শ্মশান লাগোয়া টালিগঞ্জ রোডে। ইট, রড, সোডার বোতল নিয়ে গোটা ওয়ার্ড দাপিয়ে বেড়ায় দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করা হয় দু’পক্ষের দলীয় কার্যালয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই রীতিমতো আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভাঙচুর চালায় এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা। তারপরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বেশ কয়েক দিন ধরেই একটা চাপা অশান্তি চলছে গোটা ওয়ার্ড জুড়ে। রাস বাড়ি লেনের এক বাসিন্দা বলেন,“এখানে শাসক দলের দু’টি গোষ্ঠী। এক দিকে স্থানীয় বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ট ওয়ার্ডের যুব সভাপতি বিপ্লব সরকার ওরফে রাজা। অন্যদিকে, ওয়ার্ডের পাঁচ বারের কাউন্সিলর মালা রায়।’’

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রায়ই এলাকার প্রোমোটিংয়ের দখলকে কেন্দ্র করে লড়াই লাগে দু’পক্ষের ভিতর। তবে বুধবার রাতে অতীতের রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়ে তাণ্ডব চলে। প্রতাপাদিত্য প্লেসের এক বাসিন্দা বলেন,“এখানে একটি বাড়ি ভেঙে প্রোমোটিং হবে। সেই সংক্রান্ত মালপত্র সরবরাহের বরাত কোন গোষ্ঠী পাবে, তা নিয়েই গন্ডগোল।”

আরও পড়ুন: মার্কিন বাহিনীর প্রশিক্ষক পরিচয় দিয়ে সিআরপিএফ দফতরে, ধৃত ২

প্রত্যক্ষদর্শীদেরদাবি, ওই দিন রাত ন’টা থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ। দু’দলেই ছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা। তারা এলোপাথাড়ি বোতল ছুড়তে থাকে। রাস্তার আলো নিভিয়ে দিয়ে শুরু হয় ভাঙচুর। রাত দেড়টা পর্যন্ত সেই সংঘর্ষ চলে।তবে, পুলিশের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের ক্ষোভ সব চেয়ে বেশি। কারণ স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকা সত্ত্বেও দাপিয়ে বেড়ায় দুষ্কৃতীরা। দু’পক্ষই শাসক দলের হওয়ায় পুলিশ দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে তাদের দাবি।

যদিও এ বিষয়ে বিপ্লব সরকার বলেন,“প্রতাপাদিত্য প্লেসের প্রোমোটারের কাছে গিয়েছিল পাড়ার কিছু ছেলে। তারা সেখানে গিয়ে জানতে পারে, কাউন্সিলর বলেছেন, তাঁর অনুগামী ছাড়া কাউকে যেন মালমশলা সরবরাহের বরাত না দেওয়া হয়।” তাঁর অভিযোগ, কাউন্সিলর অনুগামী কিছু দুষ্কৃতী এর পর থেকেই পাড়ায় বাইক নিয়ে টহল দিতে শুরু করে। এলাকার যুবকদের হুমকি দেওয়া হয়। বাধা দিলে মারধরওকরা হয়। বিপ্লবের অভিযোগ, “আহতদের নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়ে ফিরতেই দেখলাম, প্রায় ৬০-৭০ জন এসে আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করছে। বাধা দিতেই শুরু হয়ে গেল বোতল ছোড়া। ৫৪ নম্বর এবং ৯৫ নম্বর টালিগঞ্জ রোডের বস্তিতে ব্যপক ভাঙচুর চালায় ওরা।”

আরও পড়ুন: পার্ক স্ট্রিটে মহিলাকে পুলিশের চড়!

যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর মালা রায়। তিনি বলেন,“আমি কোনও নির্মাণ কাজে মাথা গলাই না। ওরা কাল রাতে শ্মশানের ঠিক উল্টোদিকে আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। তার পর আমাদের ছেলেদের মারধর করে।”

এখনও থমথমে গোটা এলাকা।

(শহরের সেরা খবর, শহরের ব্রেকিং নিউজ জানতে এবং নিজেদের আপডেটেড রাখতে আমাদের কলকাতা বিভাগ পড়ুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE