Advertisement
E-Paper

ঐত্রী-মৃত্যুতে গাফিলতি ছিল না ডাক্তারদের

২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি সর্দি-জ্বর নিয়ে ঐত্রীকে মুকুন্দপুরের ওই হাসপাতালে নিয়ে যান তার বাবা-মা। দু’দিন পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৯ ০১:৫৯
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

আড়াই বছরের শিশুকন্যা ঐত্রী দে-র মৃত্যুর ঘটনায় মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ খারিজ করে দিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। কাউন্সিলের এই পর্যবেক্ষণকে ‘একতরফা’ বলে মন্তব্য করেছেন ঐত্রীর মা শম্পা দে।

২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি সর্দি-জ্বর নিয়ে ঐত্রীকে মুকুন্দপুরের ওই হাসপাতালে নিয়ে যান তার বাবা-মা। দু’দিন পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। ঐত্রীর বাবা-মা অভিযোগ করেন, ভর্তির দু’দিন পরে আচমকা তাঁদের মেয়ের অবস্থার অবনতি হয়। সে সময়ে তার যথাযথ চিকিৎসা হয়নি। এক‌ই সঙ্গে ঐত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর আদৌ প্রয়োজন ছিল কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন তাঁরা।

রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, শিশুটির চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত মেডিক্যাল দল ও নার্সদের বিবৃতি যাচাইয়ের পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য মিলিয়ে দেখা হয়েছে। ফুটেজ বিকৃত করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে সরকারি ফরেন্সিক পরীক্ষাগারের মত‌ও নেওয়া হয়েছে। ঐত্রীর অভিভাবকদের আরও অভিযোগ ছিল, তার অবস্থার অবনতি হওয়ার সময়ে ওয়ার্ডে কোনও

চিকিৎসক ছিলেন না। কাউন্সিল জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, সেই অভিযোগ ঠিক নয়। তবে ঠিক কী কারণে শিশুটির মৃত্যু হল, সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি বলে মত তাদের।

রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানিয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, রোগীর চিকিৎসায় তাঁরা সর্বদা বদ্ধপরিকর। রোগীকে বাঁচাতে যে সব রকমের চেষ্টা করা হয়, এই পর্যবেক্ষণ তার‌ই প্রমাণ।

শুক্রবার শম্পা বলেন, “বিবৃতি রেকর্ড করার জন্য এক বার‌ই আমাদের ডেকেছিল কাউন্সিল। তার পরে শুনানি চলাকালীন বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি। এই পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যাব।”

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

Oitree Dey Medical Negligence Health Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy