ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভরসা গাড়ির হেডলাইট। তা ছাড়া রাস্তার বাতিস্তম্ভে কিছু আলো রয়েছে। তবে সেই আলোর অধিকাংশই জ্বলে না। আর যে কয়েকটি জ্বলে, তার কোনওটারই আলো রাস্তায় এসে পৌঁছয় না বলে অভিযোগ। ফলে অন্ধকারের মধ্য দিয়েই চলছে নিত্যদিনের যাতায়াত। এমন পরিস্থিতি স্ট্র্যান্ড রোডের বাবুঘাটের পর থেকে প্রিন্সেপ ঘাটের দিকের অংশে। অভিযোগ উঠছে গত এক মাস ধরে কোনও আলো নেই।
সম্প্রতি এই জায়গাতেই দুর্ঘটনায় পড়েছিল একটি দূরপাল্লার বাস। ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এক বাসযাত্রী। আহত হন ১৫ জন। পরে পুলিশ জানিয়েছিল, অন্ধকারের কারণেই বাসচালক ডিভাইডার দেখতে পাননি। কিন্তু তার পরেও প্রায় ১০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ রাস্তায় কোনও আলো লাগানো হয়নি। যদিও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা পূর্ত দফতর আলো না থাকার কথা অস্বীকারই করেছে।
নিত্যযাত্রীদের দাবি, রাস্তাটি এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কেন তাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অভিযোগ, শুধু বাস দুর্ঘটনাই নয়, এর আগেও এই রাস্তায় একাধিবার মোটরবাইক দুর্ঘটনায় পড়েছে। তা সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, বাবুঘাট কিংবা আকাশবাণী ভবনের পাশ দিয়ে আসার পরে স্ট্র্যান্ড রোডের এই অংশে একটি বড় বাঁক রয়েছে। তার উপর ডিভাইডার। ফলে বাস কিংবা যে কোনও গাড়িই যদি সামান্য বেশি গতিতে থাকে, এই অংশে এসে বাঁক নেওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না। দিনের বেলা যেমন ঝুঁকি থাকে। তেমনই সন্ধ্যার পরে অন্ধকারের কারণে জায়গাটি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।