নির্মীয়মাণ পাঁচতলা বহুতলের ছাদের পাঁচিল ধসে এক বধূর মৃত্যুর ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসেছে উত্তর দমদম পুর প্রশাসন। বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে ও বাড়ি তৈরির সময়ে সুরক্ষা-বিধি সংক্রান্ত একগুচ্ছ পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী নির্মাণকারীদের বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। তার মধ্যে অন্যতম হল, নির্মাণস্থলে সিসি ক্যামেরা বসানো-সহ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়টি।
গত ৩০ মার্চ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ বসু রোডে ওই পাঁচিল ধসে পড়ার ঘটনায় মৃত্যু হয় পাশের বাড়ির বাসিন্দা কেয়া শর্মাচৌধুরীর। এই ঘটনায় প্রোমোটার, ঠিকাদার-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছিল বিমানবন্দর থানার পুলিশ।
ঘটনার পরেই এলাকার বাসিন্দা থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সরব হয়। সকলেরই অভিযোগ ছিল, সরু রাস্তার পাশে কী ভাবে পাঁচতলা বহুতলের অনুমোদন মিলল? কেনই বা কোনও রকম সুরক্ষার ব্যবস্থা সেখানে ছিল না? যদিও পুরসভা জানায়, ওই নির্মীয়মাণ বহুতলের অনুমোদন নিয়ম মেনেই দেওয়া হয়েছিল। তবে বাড়িটি ঘেরা ছিল না। ঘটনার পরে নির্মাণস্থল বিশেষ সুরক্ষা জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বহুতল নির্মাণ নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার, সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত কর্মী ও পুর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, নির্মাণস্থলে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও নজরদারির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কর্মরত শ্রমিক থেকে শুরু করে আশপাশের বাসিন্দাদের কোনও সমস্যা না হয়। শরৎ বসু রোডের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেই দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বলা হয়েছে, নির্মাণস্থলে সিসি ক্যামেরার নজরদারি চালু করতে হবে। রাখতে হবে নিরাপত্তাকর্মী। ঘিরে রাখতে হবে নির্মাণস্থল। পুরসভার দাবি, ইতিমধ্যেই নজরদারি শুরু করা হয়েছে একাধিক জায়গায়।
উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, ‘‘কারও এমন পরিণতি মেনে নেওয়া যায় না। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। নিয়ম ভাঙার অভিযোগ এলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)