এনআরএসে পুলিশকে মারধরের পরে দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও কারা ওই ঘটনায় জড়িত তা এখনও লালবাজারকে জানাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ বলছে, তালিকা চেয়ে একাধিক বার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
কিন্তু কেন? রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরএস কর্তৃপক্ষের ঘাড়েই এর দায় চাপিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘তথ্য দেওয়া হাসপাতালের দায়িত্ব। আমার কোনও ভূমিকা নেই।’’ আর এনআরএসের অধ্যক্ষ মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার বলেছেন, ‘‘আমি ছুটিতে। তাই কলেজ নিয়ে কিছু বলব না। কাজে যোগ দেওয়ার পরে অভিযুক্তদের নান দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’’ অর্থাৎ অভিযুক্তদের নাম পুলিশকে আদৌ দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তই নেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ১৭ এপ্রিল বিকেল এক ভবঘুরেকে আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে মানিকতলা থানার তিন পুলিশকর্মী তাঁকে ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। অভিযোগ, সেখানে কর্তব্যরত জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। তখনই এক মহিলা কর্মী-সহ তিন জনকে ডাক্তারেরা মারধর করেন বলে মানিকতলা থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। তার জেরে আট জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মারধর ও সরকারি কাজে বাধাদানের মামলা রুজু হয়। গত নভেম্বরেও ওই হাসপাতালেরই জুনিয়র ডাক্তারদের হস্টেলে কোরপান শাহ নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে খুন করার ঘটনায় অভিযুক্তদের নাম পেতে হন্যে হয়ে ঘুরতে হয়েছিল পুলিশকে। পরে অবশ্য নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ন’জন ডাক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ক্ষেত্রেও কেন পুলিশ নিজেরা তদন্ত করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করছে না সেই প্রশ্ন উঠেছে। এবং তা নিয়ে পদস্থ কর্তাদের একাংশের বিরুদ্ধে নিষ্পৃহতার অভিযোগ এনেছেন নিচুতলার পুলিশকর্মীরা। তাদের বক্তব্য, কোরপান খুনের পরে সমাজের নানা স্তর থেকে চাপ তৈরি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে লালবাজার। কিন্তু পুলিশকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে কর্তারা কতটা উদ্যোগী হবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে পুলিশমহলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy