সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কিছুটা হলেও ভাটা এসেছে। সেই পথেই হাঁটছে এই শহর। যার বড় প্রমাণ কলকাতা পুর এলাকায় সংক্রমণের শীর্ষে থাকা ১০ এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা ১২ নম্বর বরো। গত মাসেই ওই দুই বরোয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তায় ফেলেছিল প্রশাসন এবং চিকিৎসকদের।
কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে, ২৬ মে কলকাতা পুরসভা এলাকায় নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৫৩৪। সেখানে ৫ জুন পুর এলাকায় সেই সংখ্যা ৫৭৯। গত ১৩ মে ১০ নম্বর বরোয় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৬৯৪ জন। মে-র প্রথম দিকে এক দিনে ১২ নম্বর বরোয় ৬০০ জন নতুন সংক্রমিত হয়েছিলেন। ১০ এবং ১২ নম্বর বরোয় ২৬ মে সেই সংক্রমিতের সংখ্যা যথাক্রমে ২৭৫ এবং ১৫৫। ৬ জুন ওই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪ এবং ৩৬-এ। রাজ্য জুড়ে কড়া নিষেধাজ্ঞার ফলেই এই সংখ্যা কমেছে বলে মনে করছেন চিকিৎসক ও পুর আধিকারিকেরা।
১০ নম্বর বরো এলাকার অধীন নিউ আলিপুর, যোধপুর পার্ক, গল্ফ গ্রিন, গাঙ্গুলিবাগান, কসবা, ঢাকুরিয়া, লেক গার্ডেন্স, নেতাজিনগর, বিক্রমগড়, রামগড়, মুর অ্যাভিনিউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছিল। সেই সঙ্গে ১২ নম্বর বরোর ইএম বাইপাস সংলগ্ন আনন্দপুর, পঞ্চসায়র, পূর্ব যাদবপুর, যাদবপুর, গরফা এলাকাতেও সংক্রমণ বাড়ছিল। গত এপ্রিল এবং মে-তে ওই দু’টি বরোয় আক্রান্তের লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী হয়ে চলেছিল। অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে পুর প্রশাসনে।
পুর স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “কড়া বিধিনিষেধের জন্য বাজারের ভিড় নিয়ন্ত্রণে থাকায় এর সুপ্রভাব তো পড়েছেই।” কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর বরোর কোঅর্ডিনেটর তপন দাশগুপ্ত মাস কয়েক আগে নিজেই করোনা থেকে সেরে উঠে এলাকায় সচেতনতা প্রসারে জোর দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আক্রান্ত শূন্যে নামিয়ে আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য। করোনা থেকে বাঁচতে বরোর বিভিন্ন এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। সবাইকে মাস্ক পরতে, হাত ধুতে বলা হচ্ছে। সরকার যতই চেষ্টা করুক, এই নিয়মগুলো মানুষকে মানতে হবেই।”