প্রতীকী ছবি।
সল্টলেকে বেপরোয়া গাড়ির বলি হলেন এক বৃদ্ধা। কেষ্টপুর খাল লাগোয়া এসএ ব্লকের কাছে রবিবার দুপুরের দিকে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় গোতা সাউ (৬০) নাম ওই পথচারীর। দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়েছেন এক ডেলিভারি বয়ও। ঘটনার পরে গাড়ির মালকিন
তথা চালক বর্ষা দুর্গাকে অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর (পূর্ব) থানার পুলিশ। আটক করা হয়েছে গাড়িটিও।
সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তার পরেও একটি বড় অংশের চালকেরাই যে সচেতন নন, এই ঘটনায় তা ফের প্রমাণ হল। যদিও তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, গাড়ি চালানোর সময়ে আচমকা তাঁর চোখের সামনে অন্ধকার নেমে আসে। বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে ধৃতের মেডিক্যাল
পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এ দিন দুপুরে নীল রঙের গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে ছুটছিল এসএ ব্লকের সামনে দিয়ে। উল্টো দিক থেকে আসছিল একটি বাইক। সেটি চালাচ্ছিলেন অরিজিৎ মণ্ডল নামে ওই ডেলিভারি বয়। মুহূর্তের মধ্যে গাড়িটি বাইকে ধাক্কা মারে। তার পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খানিকটা দূরে গিয়ে একটি বাতিস্তম্ভের সামনে ধাক্কা মেরে
থেমে যায়। ওই জায়গাতেই দাঁড়িয়েছিলেন কেষ্টপুর এলাকার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা। গাড়িটি তাঁকে ধাক্কা মারলে তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন।
পুলিশ জানায়, গুরুতর জখম অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে প্রথমে সল্টলেকেরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বৃদ্ধাকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। অরিজিৎ ওই বেসরকারি হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন। তিনি দত্তাবাদের বাসিন্দা। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আপাতত তিনি স্থিতিশীল। তবে তাঁর ডান পায়ের দু’টি হাড় ভেঙেছে। ডান পায়ের দু’টি আঙুল অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়া হতে পারে বলেও হাসপাতাল সূত্রের খবর।
ঘটনাকে কেন্দ্র চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। ওই রাস্তায় এমনিতে গাড়ি চলাচল কম। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, মহিলা গাড়ি চালানো শিখছিলেন। যদিও পুলিশের দাবি, মহিলার জেরায় জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি চালাচ্ছেন। এমনকি তাঁর লাইসেন্সটি শিক্ষাপ্রাপ্ত গাড়িচালকের বলেই দাবি করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy