শুভ্রা ঘোষদস্তিদার
বছর দু’য়েক আগে নিউ আলিপুরের বৃদ্ধ খুনের ঘটনায় ধৃতদের আচরণের সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে বেহালায় বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় ধৃতের আচরণের। তদন্তকারীরা জানান, দু’টি ক্ষেত্রেই ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় অতীতে একাধিক চুরির অভিযোগ ছিল। ফের চুরি করতে এসেই বাড়ির লোক দেখে ফেলায় ধরা পড়ার ভয়ে তারা খুন করে।
বৃহস্পতিবার বেহালার শিশিরবাগানের বাড়িতে খুন হন শুভ্রা ঘোষদস্তিদার (৭৫)। এই ঘটনায় জোকা থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করে জেরা করা হচ্ছিল। পরে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রঞ্জিত ওরফে সাহেব পোড়েল। বছর তিরিশের সাহেবের বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুরে। এই ঘটনায় জড়িত অন্য এক অভিযুক্ত ফেরার। শনিবার আলিপুর আদালতে সাহেবের ৮ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।
পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালের অগস্টে নিউ আলিপুরের একটি বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছিল কয়েক জন দুষ্কৃতী। গৃহকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার মলয় মুখোপাধ্যায় ঘুম ভেঙে চিৎকার করে ওঠেন। ধরা পড়ার ভয়ে ওই দুই চোর বৃদ্ধের গলা টিপে খুন করে চম্পট দেয়।
পুলিশের অনুমান, শিশিরবাগানে শুভ্রাদেবীর বাড়িতেও চুরির উদ্দেশ্যেই দুষ্কৃতীরা ঢুকেছিল। মাস কয়েক আগে শুভ্রাদেবীর বাড়িতে রঙের কাজ হয়েছিল। রঙের মিস্ত্রিদের সঙ্গে গত বুধবার শুভ্রাদেবীর বাড়িতে এসেছিল সাহেব। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবারও সাহেব কাজের ছলে বেলা ১১টা নাগাদ শুভ্রাদেবীর বাড়িতে ঢোকে। সেই সময়ে শুভ্রাদেবী একাই ছিলেন। সাহেবের সঙ্গে আরও এক জন ছিল। তদন্তকারীরা জানান, শুভ্রাদেবীকে নিয়ে দোতলায় উঠে যায় সাহেব। অন্য জন নীচে ছিল।
পুলিশের দাবি, জেরায় সাহেব জানিয়েছে, সে শুভ্রাদেবীকে অনুসরণ করে দোতলায় উঠছিল। অন্য জন নীচের তলায় শো-কেসের ড্রয়ার খুলে কিছু জিনিস চুরি করার সময়েই শুভ্রাদেবী পিছন ফিরে বিষয়টি দেখে চেঁচিয়ে ওঠেন। তখনই শুভ্রাদেবীর গলায় গামছা জড়িয়ে টেনে ধরে সাহেব। তখন উপরে উঠে আসে অন্য জনও। পুলিশকে ধৃত আরও জানিয়েছে, এর পরে দু’জনে মিলে শুভ্রাদেবীর গলায় গামছা, ব্লাউজের ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তার পরে শুভ্রাদেবীর গলা থেকে সোনার হার, হাতের সোনার বালা এবং মোবাইল লুঠ করে চম্পট দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy