Advertisement
E-Paper

ফেসবুক পোস্ট দেখেই বৃদ্ধাকে বাড়ি ফেরাল পুলিশ

পাশে বৃদ্ধাকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে বসে থাকতে দেখে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। কিন্তু বৃদ্ধা নিজের নাম ফেলি দাস ছাড়া আর কিছুই জানাতে পারেননি বলেই দাবি পুলিশের।

মেহবুব কাদের চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০০
ফেরা: পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফেলি দাস। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

ফেরা: পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফেলি দাস। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এক বৃদ্ধাকে তাঁর পরিবারের কাছে পৌঁছে দিল পুলিশ। মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত বৃদ্ধা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন গত শনিবার রাতে। গত রবিবার দুপুরে হরিদেবপুর থানা এলাকার ব্যানার্জিপাড়ায় রাস্তার

পাশে বৃদ্ধাকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে বসে থাকতে দেখে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। কিন্তু বৃদ্ধা নিজের নাম ফেলি দাস ছাড়া আর কিছুই জানাতে পারেননি বলেই দাবি পুলিশের।

শেষে সোমবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে ওই বৃদ্ধার ছবি পোস্ট করেন তাঁর নাতি। এর পরেই পুলিশের পক্ষে বৃদ্ধাকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সহজ হয়ে যায়।হরিদেবপুর থানার পুলিশ জানায়, বৃদ্ধা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ফলে তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু বৃদ্ধা শুধুমাত্র নিজের

নামটুকু ছাড়া আর কিছুই জানাতে পারেননি। ফলে পুলিশকে সমস্যায় পড়তে হয় বৃদ্ধার পরিবারকে খুঁজে বার করতে। এ দিকে বৃদ্ধাকে খুঁজে না পেয়ে তাঁর পরিবারের তরফেও বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান করা হয়। এমনকি সোমবার সন্ধ্যায় বৃদ্ধার নাতি বাবাই দত্ত তাঁর দিদার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। ঘটনাচক্রে সেই ছবি হরিদেবপুর থানার পুলিশের নজরে আসে। ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিক পৃথ্বীশ রায় ফেসবুকের মাধ্যমে বাবাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মঙ্গলবার বিকেলে ফেলিদেবী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে তাঁকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। সেখানে ফেলিদেবীকে তাঁর পুত্র নবীনবাবু ও নাতি বাবাইবাবুর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বৃদ্ধার আত্মীয়েরা জানান, তিনি গার্ডেনরিচ এলাকার বাসিন্দা। মাস দু’য়েক আগে তিনি হরিদেবপুরের নেতাজি পল্লিতে মেয়ের বাড়ি এসেছিলেন। গত শনিবার বিকেলে তিনি হরিনাম শুনতে মেয়ের বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন। তার

পরে রাতে আর মেয়ের বাড়িতে ফেরেননি। পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার মানসিক সমস্যা রয়েছে। আগেও তিনি ২-৩ বার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন।

মাকে ফিরে পেয়ে পুত্র নবীন বলেন, ‘‘মা বোনের বাড়ি না ফেরায় আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছিলাম। কিন্তু কোথাও ওঁর খোঁজ পাচ্ছিলাম না।’’ নাতি বাবাইয়ের কথায়, ‘‘দিদা আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেও ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই ফিরে এসেছিলেন। এ বার দু’দিন বাড়ি ফেরেননি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গত সোমবার সন্ধ্যায় দিদার ছবি দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করি। আমরা পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করতে যাব, এমন সময় হরিদেবপুর থানা থেকে ফোন পাই।’’

Facebook Police Humanism
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy