মৃতার নাম মমতা দাস (৭০)। প্রতীকী ছবি
সদর দরজা খোলা। খাটের উপরে পড়ে এক বৃদ্ধার দেহ। তীব্র দুর্গন্ধে ঘরে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। পাশের ঘরেই অবশ্য রয়েছেন এক ব্যক্তি। তবে তাঁর বিশেষ হেলদোল নেই। বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীকলোনির একটি বাড়িতে ঢুকে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী রইল নেতাজিনগর থানার পুলিশ। বৃদ্ধার দেহটি উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে লালবাজার জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মমতা দাস (৭০)। বাড়ি শ্রীকলোনিতেই। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, একদা আইনজীবী হিসাবে কর্মরত ওই মহিলা দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে কার্যত শয্যাশায়ী ছিলেন। অপর ব্যক্তি তাঁরই ভাই। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। কিছু শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও আছে। মানসিক ভারসাম্যহীনতার ফলেই দিদির মৃত্যু তিনি বুঝতে পারেননি বলে মনে করছে পুলিশ।
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পুলিশ জেনেছে, মমতা ও তাঁর ভাইকে তাঁরাই খাবার দিতেন। সেই খাবার কোনও দিন তাঁরা নিতেন, কোনও দিন নিতেন না। মমতার সাড়াশব্দ না-পেলেও তাঁর ভাই বাড়ির বাইরে আসতেন। বুধবারও তাঁকে বেরোতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রতিবেশীদের কিছু বলেননি। এ দিন সকাল থেকেই কটু গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। তাতেই সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ সূত্রের খবর, মমতার দেহে পচন ধরে গিয়েছিল। চেহারার বিকৃতি দেখে পুলিশের ধারণা, অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আঘাতের চিহ্ন প্রাথমিক ভাবে নজরে আসেনি। তবে কী ভাবে মৃত্যু হল, ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই তা নিশ্চিত ভাবে বলা যেতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে। দিদির দেহ উদ্ধারের পরে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ভাইকে এলাকার লোকজন দেখাশোনা করছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁরাই তাঁর খাবারের ব্যবস্থা করবেন বলেজানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy