Advertisement
E-Paper

বিধাননগরে ডেঙ্গির বলি সরকারি কর্মী

পরিবারের সদস্যেরা জানান, বন দফতরের কর্মী রমেশবাবুর চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ছিল আগামী বছর। তাঁর এক ছেলে, মেয়ে এবং স্ত্রী রয়েছেন। মৃতের ভাই প্রদীপ বারুই জানান, ১৯ নভেম্বর তাঁর দাদা জ্বরে আক্রান্ত হন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৪৮
রমেশচন্দ্র বারুই

রমেশচন্দ্র বারুই

বিধাননগর পুর এলাকায় আবারও ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল এক সরকারি কর্মচারীর। মৃতের নাম রমেশচন্দ্র বারুই (৫৯)। বাড়ি বাগুইআটির ১ নম্বর নতুন কলোনিতে। শনিবার গভীর রাতে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। হাসপাতালে সূত্রের খবর, রমেশবাবুর ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে।

পরিবারের সদস্যেরা জানান, বন দফতরের কর্মী রমেশবাবুর চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ছিল আগামী বছর। তাঁর এক ছেলে, মেয়ে এবং স্ত্রী রয়েছেন। মৃতের ভাই প্রদীপ বারুই জানান, ১৯ নভেম্বর তাঁর দাদা জ্বরে আক্রান্ত হন। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, প্লেটলেট ৮৬ হাজারে নেমে গিয়েছে। পরদিন, ২০ নভেম্বর বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রমেশবাবুকে।

প্রদীপবাবুদের অভিযোগ, আইডি হাসপাতালে তাঁর দাদার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। তিনি কাউকে চিনতে পারছিলেন না। স্যালাইন খুলে ফেলছিলেন।
৩-৪ জন মিলেও তাঁকে ধরে রাখা যাচ্ছিল না। সেই অবস্থায় চিকিৎসক দেখার পরে অবিলম্বে কয়েকটি পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন।
ৎকিন্তু পরিজনেদের অভিযোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা রমেশবাবু ওই অবস্থায় পড়ে থাকলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাননি। বাধ্য হয়ে বন্ড দিয়ে তাঁকে বাগুইআটির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রমেশবাবুকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। শেষে শনিবার রাত ১টা ৪০ মিনিটে মারা যান তিনি।

বিধাননগর পুরসভার এই এলাকায় আগেও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুরসভার দাবি, তার পরে এলাকায় লাগাতার অভিযান চালানো হয়েছে। অথচ এত কিছুর পরেও নতুন করে মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন পুর প্রশাসন। তাঁদের একাংশ বলছেন, বাগুইআটির ওই এলাকার বেশ কিছু জায়গায় মশার উৎস চিহ্নিত করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। ঝোপ-জঙ্গল সাফ করা এবং ব্লিচিং, মশার তেল ছড়ানো হয়েছে। পুরসভার একাংশের আরও দাবি, তাপমাত্রা কমতে থাকায় নতুন করে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা কমেছে।

কিন্তু তার পরেও এমন ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘ওই এলাকায় আগেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুরসভার তরফে সব রকমের প্রতিরোধক পদক্ষেপ করা হয়েছে। জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনায় কমতে শুরু করেছে। কিন্তু তার পরেও মৃত্যুর ঘটনা চিন্তা বাড়াচ্ছে। আমরা ওই এলাকায় আবার সচেতনতা অভিযান চালাব।’’

Dengue Malaria Mosquitoes fever Water pollution Bidhannagar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy