কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার দুপুরে, বজবজ থানার চড়িয়াল মোড় এলাকার এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম বিনয় কয়াল। এ দিন দুপুরে বজবজ থানার সিভিক ভলান্টিয়ার উত্তম প্রামাণিক চড়িয়াল মোড়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। সে সময়ে বিনয় ব্যাগ থেকে ধারালো অস্ত্র বার করে উত্তমকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এর পরে স্থানীয়েরাই জখম উত্তমকে অটোয় করে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, বিনয় এবং উত্তম, দু’জনই বিষ্ণুপুর থানা এলাকার চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই এই হামলা চালিয়েছে বিনয়। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বিনয়ের মানসিক বিকৃতি রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, ধৃত জেরায় জানায়, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার তার পরিচিত। বেশ কয়েক দিন ধরে নিজের মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগের জন্য উত্তমের থেকে টাকা চেয়েছিল সে। কিন্তু উত্তম দেননি বলে আক্রোশের বশে ওই কাণ্ড ঘটায় বিনয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এ দিন বিনয় একটি ব্যাগ হাতে কিছু ক্ষণ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। আচমকা ব্যাগ থেকে অস্ত্র বার করে উত্তমের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। উত্তমকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে, হাঁসুয়া দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করে। তার পরে গলায়, হাতে হাঁসুয়ার কোপ মারতে থাকে। কয়েক জন ব্যবসায়ী বিনয়কে পিছন থেকে ধরে ফেলেন। এর পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উত্তমকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। বিনয়কে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। চিকিৎসকেরা জানান, উত্তমের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। ধৃতকে দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)